খাঁচার ভিতরের পৃথিবী বড়ই ফাঁকা ফাঁকা। বয়সও হয়েছে। এই বয়সে আর নতুন কোনও সঙ্গী পাওয়া সম্ভব নয়। বাচ্চাকাচ্চাও নেই। বড় একা লাগে। তা নিজের বাচ্চা নেই তো কী হয়েছে! অন্যের বাচ্চাকে বুকে তুলে নিতে তো দোষ নেই। মাতৃসত্তার কোনও সীমানা থাকে না। সে মানুষ হোক বা মনুষ্যত্বের। অন্তত এরকমটাই বুঝিয়ে দিল ইজরায়েলের চিড়িয়াখানার বাসিন্দা এক বানর।
বিশেষ প্রজাতির এই বাঁদরটির নাম নিভ। কিছুদিন ধরেই তার একাকিত্ব নজরে এসেছিল কর্মীদের।
কিন্তু কী আর করার আছে! অগত্যা সে একাই থাকত। এমন সময় এক মুরগির বাচ্চাকে আপন করে নিতে যায়। তাতে হিতে বিপরীত, ঘটে বিপত্তি। ভয়ে পালায় মুরগি ছানা। পালানোই স্বাভাবিক।
কেননা এই বিশেষ প্রজাতির বাঁদরদের বদনাম আছে, এরা মুরগি পেলেই মেরে ফেলে। খেলার ছলে এমন হাল করে যে, মৃত্যুতে ঢলে পড়ে ছোট পাখিগুলি। কিন্তু কিছুদিন পর একটা দৃশ্য থেকে চোখ আটকে যায় কর্মীদের। দেখা যায়, অন্য একটি মুরগি ছানাকে বুকে আঁকড়ে ধরেছে নিভ। আর পক্ষীটিও বেশ আদরে কোলে বসে আছে।
ভয়ডরের লক্ষ্মণ নেই। চাইলেই খাঁচার ফাঁক গলে পালাতে পারত, কিন্তু তার কোনও তাড়াই নেই। বরং এই নতুন মায়ের সঙ্গে দিব্যি সুখে সময় কাটাচ্ছে সে। দেখে ভাল লাগে কর্মীদের। এতদিনে খানিকটা একাকিত্ব ঘুচল নিভের। আপাতত তার এই দত্তক সন্তানের সঙ্গেই দিনভর খেলাধুলোয় মেতে আছে নিভ।
যতই অন্যের বাচ্চা হোক, হাজার হলেও সে মা তো! দত্তক সন্তানে মায়ের যেমন একাকিত্ব ঘোচে, মুরগি ছানাকে কোলে তুলেই তেমনই সুখে আছে নিভ। আর তা দেখে বেজায় খুশি চিড়িয়াখানার কর্মীরাও। সূত্রঃ সংবাদ প্রতিদিন
বাংলাদেশ সময় : ১৪১১ ঘণ্টা, ২৬ আগস্ট, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ