শেষকৃত্যের সময় খাটিয়ার মধ্যে জেগে উঠেছে একটি লাশ। এ দৃশ্য দেখে মৃতের পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্যরা কিছুক্ষণের জন্য ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। ঘটনাটি ঘটেছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ পেরুতে। পেরুর টিঙ্গো মারিয়া শহরের তরুণ ওয়াটসন ফ্যাঙ্কলিন মান্দুজানো ডরোতিওকে রীতিমতো খাটিয়ার মধ্যে রাখা হয়েছিল। হঠাৎ তার কিছু আত্মীয় খেয়াল করেন, তার বুকের খাঁচা ওঠানামা করছে। শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়া শুরু করেছে সে। সন্ত্রস্ত আত্মীয়রা তৎক্ষণাৎ ডাক্তার ডাকেন।
আর্জেন্টিনাভিত্তিক পত্রিকা লস আন্দেস জানায়, এই ডাক্তাররাই ডরোতিওকে এর আগে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন। গত ২১ অক্টোবর রুট ক্যানেল বলে দাঁতের একটি অপারেশন করা হয় তার। ডাক্তার এসে তাকে পুনরায় দেখার পর বলেন, এখনও বেঁচে আছে ডরোতিও। এর পরই ২৪ বছর বয়সী ডরোতিওকে খাটিয়া থেকে সরিয়ে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে আবার মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃতের এক আত্মীয় দাবি করেছেন, তাকে ডায়াজেপাম নামে এক ড্রাগ দেয়া হয়েছিল। যে কারণে সে মারা গেছে। পেরুর আইনজীবীরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছেন। নতুন এক ভীতিকর গবেষণায় দেখা গেছে, যখন কেউ মারা যায়, সে বুঝতে পারে যে, সে মৃত।
ইন্ডিপেনডেন্ট জানায়, তবে এর আগেও এরকম অনেক ঘটনা রয়েছে, যেখানে মানুষকে ভুলভাবে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটা ক্ষেত্রে এমন রেকর্ড রয়েছে যে, শেষকৃত্যকালে লাশ হেঁটে বেরিয়ে এসেছে। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে ৭৯ বছর বয়সী ওয়াল্টার উইলিয়ামকে এমনভাবে জীবিত হয়ে উঠতে দেখা যায়। ২০১২ সালে মিসরে রেস্তোরাঁর এক কর্মচারীকে মৃত্যুসনদ দিয়েছিল ডাক্তার। তার শেষকৃত্যানুষ্ঠান জীবিত হয়ে ওঠায় আনন্দানুষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, ২৮ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ