সৌদি আরবের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মরুভূমিতে হাজার বছরের পুরনো ৪০০টি রহস্যময় পাথুরে কাঠামোর সন্ধান পেয়েছে বিজ্ঞানীরা। প্রত্নতাত্ত্বিকরা স্যাটেলাইটে তোলা ছবি পরীক্ষা করে এই পাথুরে কাঠামোগুলোর সন্ধান পেয়েছেন।
দেখতে দরজার মতো মনে হওয়ায় বিজ্ঞানীরা এগুলোকে দরজা বা ‘গেট’ বলে অভিহিত করছেন। দরজাগুলো সৌদি আরবের হারাত খায়বারের আগ্নেয়গিরির আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
বর্তমানে গেটগুলোর বিষয়ে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিতভাবে খুব বেশি কিছু জানাতে পারছেন না। এগুলো ঠিক কি উদ্দ্যেশ্যে ব্যবহৃত হতো, কত পুরাতন, কাদের তৈরি এসব নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনও গবেষণা করছেন।
এই পাথরের দরজাগুলো একটি আগ্নেয়গিরির মুখের চারপাশে ছড়ানো রয়েছে। আগ্নেয়গিরিটি বর্তমানে সুপ্ত অবস্থায় থাকলেও এই দরজাগুলো যখন বানানো হয়েছিল তখন এটি থেকে অগ্নুৎপাত হচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগ্নেয়গিরির চারপাশের মাঠের উপরে এবড়ো থেবড়োভাবে বানানো নিচু পাথুরে দেয়াল রয়েছে। কয়েকটি দেয়াল দেখতে ইংরেজি আই (I) হরফের মতো। এই দেয়ালগুলোর মধ্যে একটির দৈর্ঘ্য ১৭০০ ফুট।
কারা এই দরজাগুলো বানিয়েছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখনো। তবে এগুলো ওই প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের বানানো সবচেয়ে পুরাতন কাঠামো। দরজাগুলো বানানোর সময় আগ্নেয়গিরিটি থেকে অগ্নুৎপাত হচ্ছিল তা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিজ্ঞানীরা ঘুড়ি আকৃতির কিছু পাথুরে কাঠামোরও সন্ধান পেয়েছে। ঘুড়ি আকৃতির কাঠামোগুলো পশু শিকারের কাজে ব্যবহার করা হত। কিন্তু দরজা ও ঘুড়ির মতো দেখতে এই কাঠামোগুলো সম্পর্কে শুধুমাত্র স্যাটেলাইটে তোলা ছবি দেখে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা এরাবিয়ান আর্কিওলজি এন্ড এপিগ্রাফি জার্নালে শিগগিরই তাদের গবেষণা প্রকাশ করবেন। তবে গবেষণাপত্রটি থেকে দরজাগুলো সম্পর্কে খুব সামান্যই ধারণা পাওয়া যাবে।
গবেষণার পরবর্তী ধাপে বিজ্ঞানীরা ওই অঞ্চলে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ চালাবেন। তখন পরীক্ষা করার জন্য দরজাগুলো থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। তারা লাভার জমে যাওয়া স্থানটি কত পুরাতন তাও কার্বন ডেটিং পদ্ধতিতে নির্ণয় করবেন।
এসবের সাথে সাথে বিজ্ঞানীরা ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের অন্যান্য অদ্ভুত কাজকর্মের নমুনা জোগাড় করার চেষ্টা করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, ২১ অক্টোবর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে