ঘটনাটি এবারের কোরবানির ঈদের। পরিচয় গোপন করে কসাইয়ের কাজ করেছেন তিনি। জবাই করা গরুর চামড়া ছাড়ানো থেকে মাংস ছাড়ানো ও টুকরা করা পর্যন্ত সকল কাজই করেছেন। কিন্তু গরুর মালিক নিজেও জানতেন না যে তার গরুটি জবাই হবার পর যিনি কসাইকর্ম করছেন তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বী একজন ব্যক্তি। অতঃপর পরিষ্কার হয় তার পরিচয়। গরুর মালিকের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকেই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসে।
তবে তিনি যখন জানতে পারলেন যে তিনি যাকে এবারের কোরবানির কসাই নিয়োগ করেছেন তিনি মূলত হিন্দু ধর্মাবলম্বী, এর পর তিনি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন উক্ত কসাইকে। এছাড়াও এটিকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পরিচয় বলে মনে করছেন তিনি। গরুর মালিক তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন: মাত্র জানতে পারলাম আমাদের গরুর মাংস বানিয়েছে যে লোকটি সে হিন্দু ছিল। কিন্তু শুরুতে সে তার পরিচয় লুকিয়েছিল। যখন জানতে পারলাম তখন সত্যিই শ্রদ্ধা বেড়ে গেল লোকটির উপর। আমার মনে হলো এটার আমার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।
বিষয়টি জানতে পেরে প্রিয়.কম গরুর মালিকের সহায়তায় বের করতে চেষ্টা করেছিল উক্ত কসাইয়ের নাম ঠিকানা। কিন্তু উক্ত কসাই নিজের নাম ঠিকানা ও ছবি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। গরুর মালিকের কাছ থেকে জানা গিয়েছে- তাদের গ্রামের বাড়িতে কোরবানি দেওয়া হয়েছিল। কসাই ঠিক করেছিল তার ছোট ভাই।
অনাকাঙ্ক্ষিত বাক-বিতণ্ডা এড়াতে এই সংবাদে গরুর মালিক ও কসাইয়ের নাম ঠিকানা ব্যবহার করা হলো না। সংবাদের শীর্ষে ব্যবহৃত ছবিটি কেবল মাত্র প্রতীকী হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৫৪২ ঘণ্টা, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ