ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে গণপিটুনিতে তোফাজ্জল নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা আলোড়ন ফেলেছে। মৃত্যুর আগে তার সাথে কথা হয়েছিল বলে যমুনা টেলভিশনকে জানিয়েছেন নিহতের ভাবী শরীফা বেগম।
তিনি জানান, গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে তোফাজ্জলের সাথে ফোনে তার কথা হয়। জানায়, মোবাইল চুরির দায়ে তাকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তারা টাকা চাচ্ছে বলেও জানায়। একটু পর আরেকজন ফোন দিয়ে কথা বলতে বলে। এ সময় ফোনে থাকা ব্যক্তিকে শরীফা জানান, তোফাজ্জল মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধও করেন।
শরীফা আরও জানান, গত রাতে তার কাছে একাধিক ফোন আসে। ফোনে একজন ব্যক্তি তোফাজ্জলের সাথে তার সম্পর্ক জানতে চায়। ভাবী হন বলার পর সেই ব্যক্তি তোফাজ্জলের অভিভাবকদের ফোন নম্বরও চায়।
শরীফা বলেন, একজন ফোনে দুই লাখ টাকা চান। বলেন, টাকা না দিলে আপনার দেবরকে মেরে ফেলা হবে। ।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে গণপিটুনিতে তোফাজ্জল নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন, জালাল আহমেদ, মোত্তাকীন সাকিন, মোহাম্মদ সুমন। এ ঘটনায় ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে চোর সন্দেহে তোফাজ্জলকে আটক করে শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ১০টা পর্যন্ত হলের গেস্টরুমে কয়েক দফা তাকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে ক্যান্টিনে বসিয়ে তাকে খাবারও খাওয়ানো হয়। এরপর আবারও মারধর করে উত্তেজিত কিছু শিক্ষার্থী। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে মধ্যরাতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।