প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি। এই ১৫ বছরে অভিযোগ রয়েছে, বাক স্বাধীনতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের। গুরুতর আরও একটি অভিযোগ ছিল বিভিন্ন আন্দোলন ঠেকাতে মানুষের মোবাইল ফোন তল্লাশি করা। যা ব্যক্তির স্বাধীনতা এবং গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপের সামিল।
আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকী। আজকের দিন ঘিরে ছাত্র-জনতা ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে ধানমন্ডি-৩২ ও আশেপাশের এলাকা দখলে নিয়েছে আন্দোলনকারীরা। আওয়ামী লীগ সন্দেহে করা হচ্ছে তল্লাশি, মোবাইল চেক করে খোঁজা হচ্ছে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতা। কালো পোশাক দেখলেই মারধর করা হচ্ছে। আবার কেউ মোবাইলে ভিডিও করলে তাকেও জেরার মুখে পড়তে দেখা গেছে।
১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পথচারীদের ফোন চেকিংয়ের ঘটনায় বিভিন্ন জনের তরফ থেকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আসার পর এটির নিন্দা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ছাত্রলীগ ফোন চেক করলেও প্রাইভেসি লঙ্ঘন, আপনারা আজকে যেটা করলেন সেটাও প্রাইভেসি লঙ্ঘন। প্রাইভেসি লঙ্ঘন যেই করবে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান থাকবে।