দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ অধ্যাপকের

আইটির সহযোগী অধ্যাপক এমটেকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করছেন। উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদে এমনই নিন্দনীয় ঘটনা ঘটে। এই অধ্যাপক বহুদিন ধরেই ছাত্রীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করছিলেন।

তিনি ছাত্রীকে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির জন্য চাপ দিতেন। এমন কি তার নগ্ন ছবি আঁকার কথা বলতেন। এই শিক্ষক বেশ কয়েকবার ওই ছাত্রীকে নগ্ন হয়ে তার সামনে আসতে বলতেন যাতে তিনি ছাত্রীর নগ্ন ছবি আঁকতে পারেন।

ছাত্রী ওই অধ্যাপক সিবিএস শিবা প্রসাদের বিরুদ্ধে পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের করেছন। ছাত্রী জানিয়েছেন, শিব প্রসাদ ছাত্রীকে তার ঘরে নিজের পাশে বসিয়ে বারবার তার পিঠ ও হাত ছোঁয়ার চেষ্টা করত। মেয়েটি অসম্মতি জানালে শিব প্রসাদ ছাত্রীকে তার জীবন খারাপ করে দেওয়ার হুমকিও দেয়৷ শিব প্রসাদ গত ২৯ মে দিল্লি যাওয়ার আগে ছাত্রীকে বলে যায় পরীক্ষায় পাস করতে হলে সে যেন তার ‘মাইন্ড প্রিপেয়ার’ করে রাখে৷

সহযোগী অধ্যাপক শিবা প্রসাদের এই ব্যবহার ওই ছাত্রী সারা বছর ধরে সহ্য করতে থাকে। তার অভিযোগ, প্রফেসর তাকে পাশে বসিয়ে বারবার পিঠে হাত দিত। ইচ্ছে করে পেন, কাগজ মাটিতে ফেলে তাকে তুলতে বলত, যখন সে নিচু হয়ে সেগুলো তুলত তখন প্রসেফর খারাপ নজরে তাকে দেখত।

ছাত্রী তার অভিযোগে জানিয়েছে, শিব প্রসাদ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য তাকে বিভিন্ন রকমের প্রলোভন দেখাত। পরীক্ষায় ভালো নম্বর দেওয়া ছাড়াও বিদেশে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া, দামি উপহার দেওয়ার কথাও বলত।

ছাত্রী অস্বীকার করলে প্রফেসর হুমকি দিয়ে বলে প্রজেক্ট করার নামে সে তাকে দিল্লিতেও নিয়ে যেতে পারে। বাঁচার জন্য ছাত্রী নিজের প্রজেক্ট শেষ করলে প্রফেসর তাকে আবার একটি প্রজেক্ট দিয়ে দেয়। প্রফেসর তাকে বলে, সে তাকে ততদিন কোথাও যেতে দেবে না যতদিন না সে তার ইচ্ছেপূরণ করে।

২৯ মে প্রফেসররের হুমকির পর ৩০ মে ছাত্রী কলেজের নির্দেশককে চিঠি লিখে এই ঘটনার কথা জানায় ও নিজের সুপারভাইজার বলদ করার অনুরোধ জানায়। ছাত্রীর অভিযোগ শিব প্রসাদের আগেও অনেক ছাত্রীকে বিরক্ত করেছে৷

বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, ৬ নভেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে