একটি পোড়ামুখ হনুমান ঘুরে বেড়াচ্ছে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের লোকালয়ে। লাফিয়ে লাফিয়ে ছুটে যাচ্ছে এক গাছ থেকে অন্য গাছে। ছুটছে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি। আবার নারী-পুরুষ কিংবা শিশুদের দেওয়া যে কোনো খাবার লুফে নিচ্ছে। স্থানীয়দের দেওয়া বাদাম, বিস্কুট অথবা কলা হাতে নিয়ে তাৎক্ষণিক খেয়ে যাচ্ছে হনুমানটি।
এভাবেই সামান্য সময়ের মধ্যে পোড়ামুখ হনুমানের সঙ্গে গ্রামের সবার সখ্য গড়ে উঠেছে। হনুমানটি কারো কোনো ক্ষতি তো দূরের কথা বিরক্তও করছে না। তাকে একনজর দেখার জন্য ভিড় করছে স্থানীয়রা।
আজ মঙ্গলবার দিনভর জেলার সিরাজদিখান উপজেলার বয়রাগাদি ইউনিয়নের ভূঁইরা গ্রামে দলছুট পোড়ামুখ হনুমান ঘুরে বেড়ালে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
ভূঁইরা গ্রামের মো. মোশারফ হোসেন জানান, সকাল ৭টার দিকে ভূঁইরা বাজারে প্রথম হনুমানটি দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে হনুমানটি বাজারের পার্শ্ববর্তী বাড়িগুলোর গাছে গাছে লাফিয়ে লাফিয়ে ছুটতে থাকে। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন খাবার দিলে গাছ থেকে নেমে তা গ্রহণ করে। তাৎক্ষণিক খাবার খেয়ে আবার গাছে কিংবা বসতঘরের চালে চলে যাচ্ছিল। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে হনুমান দেখতে ভিড় করতে থাকে নারী-পুরুষ আবাল বৃদ্ধ-বনিতা।
গ্রামের মো. আলমগীর বলেন, একপর্যায়ে হনুমানটি গাছ ও বসতঘরের চাল ছেড়ে মানুষের কাছাকাছি চলে আসে। শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ তাকে বিস্কুট, কলা, বাদামসহ নানা খাবার দিতে থাকে। হনুমানটিও সবার খাবার গ্রহণ ও তা খেতে থাকে। হনুমানটি ক্ষুধার্ত বলেই লোকালয়ে চলে এসেছে বলে ধারণা। আর তাই যে যা খাবার দিচ্ছে-তাই সে খাচ্ছে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, হনুমানটি খাদ্যের অভাবে দলছুট হয়ে লোকালয়ে চলে এসেছে। এরা দেশজুড়ে বিচরণ করে থাকে। হয়তো যেখান থেকে এসেছে সেখানে চলে যাবে। তবে প্রাণীটিকে বিরক্ত না করার আহ্বান জানাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফুল আলম তানভীর বলেন, বন্যপ্রাণী অধিদপ্তর কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করে হনুমানটিকে ধরার ব্যবস্থা করব। যাতে করে প্রাণীটির কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হয়; আবার প্রাণীটি মানুষজনের যাতে ক্ষয়ক্ষতি করতে না পারে।