রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এক বাসায় পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের মাধ্যমে পোকামাকড় মারতে ওষুধ প্রয়োগের পর অসুস্থ হয়ে এক ব্যবসায়ীর দুই ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
তাদের একজন রবিবার (৪ জুন) সকালে, অন্যজন গভীর রাতে মারা যায় বলে ভাটারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরীফুল ইসলাম জানান।
৯ ও ১৫ বছর বয়সি সন্তান দুটির বাবা ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন তুষার ঢাকা উত্তরা রয়েল ক্লাবের সাবেক সভাপতি। তার মেয়ে এখনো অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
পরিদর্শক শরীফুল বলেন, মোবারক হোসেন বাসার পোকামাকড় তাড়ানোর জন্য একটি পেস্ট কন্ট্রোল কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ওই কোম্পানির কর্মীরা শনিবার বাসায় ওষুধ দিয়ে দুই-তিন ঘণ্টা পরে ঘরে ঢুকতে বলেছিল। পরিবারটি ৯ ঘণ্টা পর বাসায় ঢুকে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়। তাদের সবারই পেট খারাপ, বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। রবিবার ভোরে ছোট ছেলেটি মারা যায়। ছোট ছেলেকে দাফন করে আসতে না আসতেই রবিবার গভীর রাতে বয়সি বড় ছেলের মৃত্যু হয়।
সোমবার সকালে পুলিশ এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যাওয়া বড় ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ওই পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সেই কোম্পানি পোকামাকড় নিধনের জন্য এলুমিনিয়াম ফসফাইড ট্যাবলেট (গ্যাস ট্যাবলেট) ব্যবহার করেছিল, যেটা থেকে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়। সেই গ্যাসের বিষক্রিয়াতেই পরিবারটি এই হৃদয় বিদারক ঘটনার শিকার হয়েছে।