মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া জাহাজের খালি কন্টেইনারে পাওয়া কুমিল্লা মনোহরগঞ্জের ছেলে রাতুল (১৩) পানিতে ডুবে মারা গেছে।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে তার মরদেহ সাতপুকুরিয়া এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাতুলের চাচা মো. আজগর আলী। রাতুল কুমিল্লা জেলা মনোহরগঞ্জ উপজেলার সাতপুকুরিয়া গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৯ এপ্রিল) ২ টার দিকে গোসলের উদ্দেশে রাতুল স্থানীয় একটি পুকুরে যায়। গোসল করে বাড়ি ফিরতে বিলম্ব হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা রাতুলকে খুঁজতে বের হয়। পরে সন্দেহজনক পুকুরে নেমে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পানির নিচ থেকে রাতুলকে উদ্ধার করা হয়। পরিবারের সদস্যরা রাতুলকে মনোহরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক রাতুলকে মৃত ঘোষণা করে।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গত ১২ জানুয়ারি ছেড়ে যাওয়া এমভি ইন্টেগ্রা\’ জাহাজের একটি খালি কনটেইনারে আটকা পড়ে রাতুল। জাহাজটি মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে যাওয়ার পর ১৬ জানুয়ারি কনটেইনারের ভেতর থেকে শব্দ শুনতে পান নাবিকেরা। এরপরই কেলাং বন্দরকে অবহিত করা হয়। পরদিন ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় জাহাজটি জেটিতে এনে কনটেইনার খুলে রাতুলকে উদ্ধার করা হয়। তারও ২ মাস ৭ দিন আগে শুক্রবার দুপুরের পরে বাসা থেকে বের হয় রাতুল। তারপর থেকে তার খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
কেলাং বন্দর থেকে উদ্ধার করে রাতুলকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখান থেকে মালয়েশিয়া ওয়াইসিকে নামে একটি এনজিওর সেইফ হোমে রাতুলকে ১ মাস রেখে ২১ এপ্রিল রাতে ফ্লাইটে করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়।