ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি বাংলাদেশ রেলওয়ের অংশীজন কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন। ‘অর্থপূর্ণ’ ও ‘কার্যকরী’ মনে না হওয়ায় পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা নিয়ে আন্দোলনকারী এ যুবক।
আজ বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরে মহিউদ্দিন রনি বাংলাদেশ রেল ভবনে পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নীতিমালা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ১ মার্চ রেলমন্ত্রী পিওএস মেশিন হস্তান্তর করেন। অনেক দেরিতে হলেও বাংলাদেশ রেলওয়ের এই পদক্ষেপকে আমি ইতিবাচকভাবে দেখছি। আমি বিশ্বাস করতে চাই, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ক্রমান্বয়ে আমার দেওয়া ছয়টি দাবিসহ জনগণের সকল চাহিদা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের সেবার মানকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাবে। যেখানে দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ সমানভাবে এই রাষ্ট্রীয় সেবাটি গ্রহণ করার সুযোগ পাবে।
কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের ২৭ জুলাই রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অংশীজন সভায় জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের তিনজনকে মনোনীত করে। তবে গত সাত মাসে এই অংশীজন সভায় থাকা এবং যতটুকু দেখার সুযোগ পেয়েছি, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে এটিকে আমার কাছে সেই অর্থে কার্যকরী মনে হচ্ছে না। একই কারণে এই সভায় আমি আমার অবস্থানকেও অর্থপূর্ণ মনে করছি না। সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমি এই অংশীজন সভা থেকে বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করব। দুপুর ১২টায় আমি রেলওয়ে অফিসে পদত্যাগপত্র জমা দেব।
প্রসঙ্গত, মহিউদ্দিন রনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০২২ সালের জুলাই মাসে টিকিট কিনতে গিয়ে হয়রানির শিকার হন তিনি। সে বছর ঈদুল আজহার আগে ৭ জুলাই থেকে কমলাপুর স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে অনশন শুরু করেন মহিউদ্দিন। ১৯ দিন অবস্থান করার পর রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছয় দফা দাবি পূরণের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে ঘরে ফিরে যান তিনি।