এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ফ্রিল্যান্সারদের রফতানিকারকের রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবের সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সাররা বিদেশ থেকে অর্জিত অর্থ বিদেশে খরচ করতে পারবেন।
আজ রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। বিদেশ থেকে অর্জিত অর্থ বিদেশে খরচ করার জন্য ইআরকিউ হিসাব হলো স্বীকৃত বৈধ পদ্ধতি।
আইসিটি খাতসহ সেবা খাতের রফতানিকারকদের ইআরকিউ হিসাব খোলার সুবিধাসহ আন্তর্জাতিক কার্ড প্রদানের ব্যবস্থা করার ফলে এ খাতে আয় বাড়বে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী, ফ্রিল্যান্সারদের অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলো রফতানিকারকের রিটেনশন কোটা হিসাব সংক্রান্ত সেবা দেবে। সেবা খাতের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইসিটি খাতসহ অন্যান্য সেবা রফতানিকারকদেরকে প্রয়োজনীয় ইআরকিউ হিসাব খোলা, আন্তর্জাতিক ডেবিট, ক্রেডিট, প্রিপেইড কার্ড ইস্যু ও তা দিয়ে অনলাইন পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় ব্যয় করতে পারবেন।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইসিটি খাতে নানারকম ব্যয় বিদেশে পাঠাতে হয়। কিন্তু ফ্রিল্যান্সারদের নামে ইআরকিউ হিসাব না থাকায় কার্ড সুবিধার আওতায় সহজ উপায়ে বৈদেশিক লেনদেন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। এছাড়া দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মরত ফ্রিল্যান্সারদের এডি ব্যাংক শাখা নয়— এমন ব্যাংক শাখা ইআরকিউ হিসাবসহ কার্ড সেবা প্রদান করতে পারে না।
এমন বিবেচনায় এডি শাখা নয়— এমন ব্যাংকের মাধ্যমে আয় প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে নিকটবর্তী এডি শাখা ও সেন্ট্রাল ট্রেড প্রোসেসিং সেন্টার কিংবা প্রধান কার্যালয়ের সহায়তায় ইআরকিউ হিসাব খোলা ও কার্ড সার্ভিস সুবিধা দিতে সার্কুলারে বলা হয়েছে। নতুন নির্দেশনায় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে আয় প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে সেটেলমেন্ট ব্যাংককে ইআইকিউ হিসাব খোলাসহ আন্তর্জাতিক কার্ড ইস্যুর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।