চীনের হারবিনে চলছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তুষার ও বরফের তৈরি ভাস্কর্যের আন্তর্জাতিক উৎসব। এবার বসেছে ৩৯তম আসর। সেখানে বরফ কেটে বানানো হয়েছে দুর্গ, প্রাসাদ, ঘরবাড়ি। আলো আর বরফে তৈরি চোখ ধাঁধাঁনো পরিবেশ দেখতে ভিড় করছেন নানা বয়েসি মানুষ। এটি এখন বিশ্বের পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা হয়ে উঠেছে।
দুইশো একরজুড়ে বরফের রাজত্ব। ১ লাখ কিউবিক মিটারের বরফ এবং ৫০ হাজার তুষার ব্যবহার করে সাজানো হয়েছে এবারের আসর। কোথাও মধ্যযুগের দুর্গ, কোথাও আবার বরফ কেটে বানানো হয়েছে রাজপ্রাসাদ। চীনের বার্ষিক হারবিন আইস অ্যান্ড স্নো ফেস্টিভ্যালে নিজেদের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন কয়েকশো ভাস্কর।
প্রতি বছর দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকরা আসে এই চোখ ধাঁধানো বরফ উৎসবে যোগ দিতে। করোনার কারণে তিন বছর সরকারি বিধি নিষেধ থাকায় গত আসরগুলোতে বাইরে থেকে পর্যটক প্রবেশের অনুমতি ছিল না। তবে, সম্প্রতি সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় এবারের আয়োজনে ভীড় বেড়েছে দর্শনার্থীদের।
এক পর্যটক বলেন, আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। শীত নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই। বরং এই আয়োজন আমি বরাবরই খুব পছন্দ করি। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)-এর বিধি নিষেধ নেই এটাই আমার কাছে বড় বিষয়।
দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে রাখা হয়েছে ৫শ মিটার দীর্ঘ বরফের ঢাল বেয়ে স্লেজ চালানোর সুযোগ। নানা ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা যোগ করেছে বাড়তি মাত্রা।
এবারই প্রথম ব্যবস্থা করা হয়েছে ফেরিস হুইলের। ১২০ মিটার উচ্চতার এই হুইলের সাহায্যে পুরো আয়োজনের মনমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগের সুযোগ পাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। রাতের আলোকসজ্জা এই বরফ নগরীকে রঙিন ও অপূর্ব করে তোলে।
চীনের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় হেইলংজিয়াং প্রদেশের হারবিন শহরে প্রতি বছর হয় তুষার ভাস্কর্য উৎসব, যা বিশ্বের এই ধরনের আয়োজনের দিক থেকে অন্যতম। সাধারণত বরফের এই উৎসব ফেব্রুয়ারি বা মার্চ পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এরপর তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করলে গলতে থাকে বরফ।