মালয়েশিয়ার ইসলামি বক্তার ঢাকায় পথশিশুদের খাওয়ানোর মুহূর্ত ভাইরাল

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। টঙ্গীর তুরাগ তীরে এই পর্বেও যোগ দিয়েছেন দেশ-বিদেশের তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা। তবে এবারের পর্বে অন্যতম আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন মালয়েশিয়ার সাধারণ মানুষের কাছে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ খ্যাত আলোচিত দাঈ ও সমাজকর্মী ওস্তাদ ইবিট লিও। ঢাকার রাস্তায় তার চলাফেরা ও পথশিশুদের খাওয়ানোর ছবি ভাইরাল হয়েছে। যে ছবি অসংখ্য মানুষ নিজ নিজ ফেসবুক আইডিতে লিওকে নিয়ে প্রশংসা করছেন।

বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ইবিট লিও। সেখান থেকে সরাসরি টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে নিয়ে আসা হয় তাকে। আর প্রতিটা পর্বে নিজের অবস্থান জানাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন তিনি। তার ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।

বাংলাদেশে এসে বৃহস্পতিবার সকালে খোলা রিকশায় ঘুরে বেড়ানোর একটি ছবি পোস্ট করেন ইবিট লিও। সেখানে তিনি লিখেন ‘আই ❤️ বাংলাদেশ. আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি’।

এরপর শুক্রবার সকালে আরও কয়েকটি ছবিসহ দুটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। কখনো রাস্তায় থাকা শিশুদের রান্না করে খাওয়াচ্ছেন, কখনো খাবার কিনে খাওয়াচ্ছেন। আর সেই মুহূর্তগুলো নিজের কাছে রাখার জন্য ছবিও তুলে রেখেছেন। এসব ছবিগুলোতে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। রিয়্যাক্ট ও কমেন্ট দেখে সহজেই বোঝা যাচ্ছে ইবিট লিওর ভক্তকূলের সংখ্যা নেহাত কম নয়।

উল্লেখ্য যে, আলোচিত দাঈ ইবিট লিও একজন মালয়েশিয়ান চাইনিজ মুসলিম। তিনি মালয়েশিয়ার মুসলিম উদ্যোক্তা এবং ধর্ম প্রচারক হিসেবে সব মহলে ইবিট লিও নামে পরিচিত। তাঁর পুরো নাম-ইবিট ইরাওয়ান বিন ইব্রাহিম লিও। সুদর্শন সুন্নতি দাড়ি, ক্যাপ এবং কুর্তায় জনপ্রিয় এই ওস্তাদ ইবিট লিও তার পারিবারিক অনুপ্রেরণায় মানব কল্যাণ ও ইসলামি দাওয়াতের কাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।

বাংলাদেশের পথশিশুদের খাওয়ানোর ছবি আম জনতার কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। সবাই তার এ কাজে মুগ্ধ হয়ে নিজের ফেসবুক আইডিতে তাকে নিয়ে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন।

জাহিদুল নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, দ্বীনি কাজের পাশাপাশি কীভাবে মানবতার কাজ করতে হয় তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন বাংলাদেশের সকলকে।

তারিকুল ইসলাম তামিম নামে একজন লিখেছেন, মানবতার ফেরিওয়ালা ওস্তাদ ইভিট লিও। যিনি ইসলামের খেদমত করে কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন। আল্লাহ তায়ালা আপনার এই খেদমত কবুল করুন এবং আপনাকে সুস্থতার সহিত নেক হায়াত দান করুন।

আলাউদ্দিন নামে একজন লিখেছেন, আমাদের দেশের কিছু বক্তা মাহফিলের কন্ট্রাক্ট নেয় সাথে দামী খাবারের লিস্টও ধরিয়ে দেয়। অথচ একজন ভিনদেশি বক্তা, কতইনা পার্থক্য তাঁর সাথে আমাদের কথিত নামদারি কিছু আলেমদের মধ্যে। তাঁর থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত কীভাবে ইসলামের খেদমত করতে হবে।

মিজানুর রহমান নামে একজন লিখেছেন, আমাদের দেশের অধিকাংশ মোল্লা, মুন্সি, হুজুরেরা মানুষের বাড়িতে শুধু খেতে যানে, মানুষকে খাওয়াতে জানে না। এই আল্লাহর বান্দা অনেকটাই ব্যতিক্রম।

দেলোয়ার হোসেন নামে একজন লিখেছেন, ইভিট লিও মালয়েশিয়ান চাইনিজ মুসলিম নাগরিক। একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, দুই হাত ভরে মানুষকে দান খয়রাত করে থাকেন তিনি। লিখে তাঁর গুন শেষ করা যাবে না। মূলত তিনি হচ্ছেন দ্বীনের একজন দায়ী।

মিলন নামে একজন লিখেছেন, তিনি মালয়েশিয়ার গরীব অসহায় মানুষের পাশে সব সময় থাকে। অথচ আমাদের দেশের কতজন আলেম দেশের গরীবদের পাশে থাকে। এ দেশের সব আলেমরা যদি তাঁর মতো গরীবদের পাশে থাকতো তাহলে দেশটা আরো সুন্দর হতো।

হুমায়ুন নামে একজন লিখেছেন, আল্লাহ পাক হুজুরের মনের আশা পূরণ করুন, আমিন।