দুষ্প্রাপ্য মাছ বিক্রি হলো ৪০ হাজার টাকা কেজিতে

খুলনার রূপসা পাইকারি মাছ বাজারে ২৩ কেজি ৬৮০ গ্রাম ওজনের একটি ভোল মাছ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ভোরে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের জেলে মাসুম বিল্লাহ নগরীর রূপসা পাইকারি বাজারের মেসার্স মদিনা ফিস ট্রেডার্স নামের আড়তে মাছটি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন।

বিরল প্রজাতির এই ভোল মাছটিকে দেখতে অনেকে ভিড় করেন। কেউ কেউ সেলফিও তুলেছেন মাছটির সঙ্গে। সুন্দরবনের দুবলারচর এলাকায় গত ১০ জানুয়ারি ভোরে জেলে মাসুম বিল্লাহর জালে মাছটি ধরা পড়ে।

জেলে মাসুম বিল্লাহ জানান, গত ১০ জানুয়ারি ভোর ৬টার দিকে সুন্দরবনের দুবলার চরের বঙ্গোপসাগর থেকে মাছটি ভেহেন্দিজালে ধরা পড়ে। প্রথমে মাছটির দাম উঠেছিল ৪০ হাজার টাকা কেজি। সে হিসেবে তখন দাম হয় প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা। পরে সিন্ডিকেট করে ওরা দাম কমিয়েছে বলে মাছ বিক্রি না করে খুলনার বাজারে নিয়ে এসেছি। প্রথম ভোল মাছ ধরতে পেরে খুব খুশি হলেও সিন্ডিকেটের কারণে দাম নিয়ে সংশয়ে আছি।

তিনি আরো বলেন, ভোল মাছ খুবই কম পাওয়া যায়। বছরে দুই-একটি মাছ পাওয়া যায়। মূলত মাছের প্যাটা ও বালিশের কারণে দাম বেশি। আমরা শুনেছি এগুলো দিয়ে ওষুধ ও প্রসাধনী তৈরি হয়।

জেলে মাসুমের ছোট ভাই মারুফ বিল্লাহ বলেন, মাছটা যখন সমুদ্র থেকে চরে নিয়ে আসা হয়, তখন মাছটির দাম বলা হয় ৮ লাখ টাকা। পরে মাছটি রূপসার আড়তে নিয়ে আসা হয়েছে ভালো দামের আশায়। এখানে দাম ভালো না পেলে চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করবো।

কেসিসি রূপসা পাইকারি মৎস্য আড়তের মেসার্স মদিনা ফিস ট্রেডার্স পরিচালক মো. আবু মুছা বলেন, ভোল মাছ আগে কখনো দেখিনি। এটি একটি দুষ্প্রাপ্য মাছ। তবে বেশ কয়েক বছর আগে এ আড়তে একটি ভোল মাছ উঠেছিল।

তিনি আরও বলেন, সমুদ্রের সোনা খ্যাত ভোল মাছের চাহিদা খুব। স্বাদেও অনেক মজা। শোনা যায়, ভোল মাছের বালিশ (পেটি) সার্জিক্যাল অপারেশনের সুতা, প্রসাধনী ও ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি বিদেশে রপ্তানিও হয়ে থাকে। যার কারণে ভোল মাছের দাম এতো বেশি