পরীক্ষায় নকলের প্রবণতা অনেক পুরোনো। নকলের জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করতে দেখা যায়। অনেকে প্রযুক্তির উৎকর্ষতার কারণে এসব অসৎ উদ্দেশ্যেও প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছেন। সম্প্রতি একটি পরীক্ষার হলে অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ায় নকল করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন পাঁচ পরীক্ষার্থী। তারা স্যান্ডেলের মধ্যে ব্লুটুথ ডিভাইস লাগিয়ে পরীক্ষার হলে বসেছিলেন। চাকরিপ্রার্থী এসব পরীক্ষার্থীর চুরির কৌশলে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গতকাল রোববার রাজস্থান এলিজিবিলিটি এক্সামিনেশন ফর টিচার্স (রিট)-এর পরীক্ষা ছিল। সেই পরীক্ষায় স্যান্ডেলের ভেতর বসানো ব্লুটুথ ডিভাইস দিয়ে নকল করায় এক পরীক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। এরপর একই রকমভাবে নকল করতে গিয়ে বিকানের এবং সীকর থেকেও কয়েক জনকে আটক করা হয়।
রতনলাল ভার্গব নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘স্যান্ডেলের সোলের মধ্যে ফোন এবং ব্লুটুথ ডিভাইস ভরে পরীক্ষার হলে এসেছিলেন ওই পরীক্ষার্থীরা। আর কানে একটি যন্ত্র ছিল। পরীক্ষা হলের বাইরে থাকা কেউ অভিযুক্তদের সাহায্য করছিলেন।’
পুলিশ জানিয়েছে, অনেক মেধা খাটিয়ে বানানো হয়েছে নকলের কাজে ব্যবহার করা এই স্যান্ডেল। প্রায় দুই লাখ টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদের কাছে এই স্যান্ডেল বিক্রি করা হয়েছে বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ।
আজমিরের পুলিশ কর্মকর্তা জগদীশচন্দ্র শর্মা বলেছেন, ‘স্যান্ডেলের ভেতর ব্লুটুথ ডিভাইস থাকা এক ব্যক্তিকে পরীক্ষার শুরুতেই আটক করেছিলাম আমরা। তার মাধ্যমে জানতে পারি, যারা এভাবে নকল করছে তাদের সকলের সঙ্গে ওই ব্যক্তির যোগাযোগ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সকল জেলার পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। এরপর জুতা, স্যান্ডেল পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।’ রাজস্থানের সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার জন্য ‘রিট’ পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। মোট ৩১ হাজার পদের জন্য এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ১৬ লাখ পরীক্ষার্থী।
সংবাদ সূত্রঃ এনডিটিভি