সেসব দিন আজ অতীত। আজ আর সমাজে তার পরিচয় যৌনকর্মী নয়। অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রবেশ করা সেই যৌনতার জগৎ থেকে মুক্ত তিনি।
কিন্তু আজও সেসব দিনের কথা স্মৃতি থেকে পুরোপুরি মুছে ফেলতে পারেননি। যৌনপল্লি থেকে বেরিয়ে আসা এক মহিলা নিজের সেই সব দিনের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। জানালেন কী ধরনের খদ্দেরের দেখা মিলেছিল।
এক শনিবার রাতের ঘটনা। চামড়ার বুট পায়ে দাঁড়িয়েছিলেন ওই মহিলা যৌনকর্মী। আচমকাই এক ব্যক্তি এসে তার বুটটি চাটতে থাকেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মহিলার হাতে টাকা ধরিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান ওই ব্যক্তি।
একবার এক ব্যক্তির সঙ্গে যে ঘরে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছিলেন ওই মহিলা, সেই ঘরে একটি ফুটো করে রেখেছিলেন ওই ব্যক্তি। যাতে বাইরে থেকে তার বন্ধুরা অনায়াসে মিলনের সাক্ষী থাকতে পারেন।
ডিক কে নামের এক ব্যক্তি আবার একবার নিজের বিজনেস ট্রিপে ওই মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কখনওই তার সঙ্গে সঙ্গম করেননি। এমনকী একই বিছানায় শুয়েও তাকে স্পর্শ করেননি। এমন ঘটনা বেশ অবাক করেছিল যৌনকর্মীকে।
এমন বেশ কয়েকজনের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল, যারা বলেছিলেন তাঁরা মহিলা হলে নিঃসন্দেহে দেহব্যবসাকেই বেছে নিতেন। যৌনকর্মীদের কাজ তাদের দারুণ পছন্দ ছিল।
জীবনে অনেক ভদ্রলোকের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়েছিল তার। যারা কখনও তাকে কোনও কিছুর জন্য জোর করতেন না। মহিলার মতে, এর দু’টি কারণ হতে পারে। বলছেন, “আমি এক ঘণ্টায় তাদের থেকে বেশি আয় করতাম বলে হয়তো তারা আমায় সম্মান করতেন। আর নাহলে তারা জানতই যার জন্য তারা অর্থ ব্যয় করছে সেটা জোর না করেও পাবেন।”
এক নিয়মিত খদ্দেরের সঙ্গে আবার দেখা হত এক হার্ডওয়্যার স্টোরে। সেখানেই মিলন হত তাদের। কিন্তু মাঝে মধ্যে দেখা না হলেও ওই খদ্দের প্রতি সপ্তাহে মহিলার কাছে অর্থ পাঠিয়ে দিতেন। ওই ব্যক্তি যেন মহিলার কাছে বাবা মতোই সহৃদয় ছিলেন।
পার্টিতে একসঙ্গে একাধিক মদ্যপ পুরুষের সঙ্গে সঙ্গম করতে রাজি হতেন না ওই মহিলা। সে বিষয়টি তার কাছে ধর্ষণের সমানই ছিল। আবার অল্প বয়সি পুরুষরা নিজেদের অতিরিক্ত স্মার্ট মনে করতেন। তারা সঠিক দাম তো দিতেনই না, উল্টো চোখের আড়ালে টাকা চুরিও করতেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৪১৮ ঘণ্টা, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ