অনেক কঠিন একটা খেলা তায়কোয়ান্দো। এটি মূলত মার্শাল আর্ট। উত্তর-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় খেলা হলেও ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। যুদ্ধ কৌশল, আত্মরক্ষা, খেলাধুলা, ব্যায়াম, এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ধ্যান এবং দর্শনের সম্মিলন এই তায়কোয়ান্দো।
এই ইভেন্টে থাকে ঝুঁকিও। খেলতে হয় সেসব মাথায় নিয়েই। আর সেখানে যদি আট মাসের একজন গর্ভবতী নারী খেলেন সেটা তো ভাবনার বাইরে। বলা যায় অসাধ্য একটা ব্যাপার।
তবে এই অসাধ্যকে সাধন করেছেন নাইজেরিয়ান এক নারী। তার নাম আমিনাত ইদ্রিস। তিনি আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন নারী শক্তির কথা। সম্প্রতি নাইজেরিয়ান জাতীয় ক্রীড়া উৎসবে ২৬ বছর বয়সী এই নারী শুধু তায়কোয়ান্দোর মিক্সড পুমসে ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেননি, স্বর্ণ জিতেছেন আরও কয়েকটি ইভেন্টে।
আমিনাতের তায়কোয়ান্দোর একটি ভিডিও পোস্ট করে নাইজেরিয়ান জাতীয় ক্রীড়া উৎসবের টুইটার একাউন্টে লেখা হয়, ‘অনুপ্রেরণামূলক’। যা রীতিমতো ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এ নিয়ে আমিনাত বলেন, “এটা আমার জন্য অনেক বড় বিষয়। আমি খেলায় অংশগ্রহণের আগে অনেক বার অনুশীলন করে আয়ত্তে নিয়ে আসি নিজেকে। এখন সত্যিই খুব ভালো লাগছে।”
আমিনাত প্রথম গর্ভবতী হন ১২ বছর বয়সে। এরপরও থেমে থাকেননি বরং খেলার প্রতি ভালোবাসা আরও বেড়ে যায় বলেছেন এই অ্যাথলেট।
“আমি গর্ভবতী হওয়ার আগেও অনেক অনুশীলন করি। যে কারণে এটা আমার জন্য অনেকটা সহজ হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি নিজের সেরাটা দিতে।”
তার এমন কাজে অনেকে সমালোচনা করলেও বাহবা দিয়েছেন তার ছেয়ে অনেকগুণ বেশি মানুষ।
ইগা মুরে নামের একজন লিখেছেন, ব্যাপারটা দারুণ হলেও অস্বস্তিবোধ করেছি।
তবে সমালোচকদের উদ্দেশে আমিনাত বলেছেন, “অনেকেই তায়কোয়ান্দো আসলে কী তা বুঝতে পারে না। আমি বলতে চাই, তায়কোয়ান্দোর দুটি ধরণ রয়েছে- একটি লড়াই এবং অন্যটি পুমসে। দুটোর ধরণ দুই রকম। মিক্সড পুমসে হলো শুধুমাত্র হাত ও পায়ের কসরত দেখানো। আমি পুমসে ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “আমাকে আমার চিকিৎসক ও গেমস ম্যানেজমেন্ট ছাড়পত্র দিয়েছে বলেই খেলতে পেরেছি।”