বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রী জেসমিন আক্তার। এতে উপজেলার নসরৎপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জেসমিনের নাম পরিবর্তন করে এখন জুবায়েদ মণ্ডল রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে উৎসক জনতা জুবায়েদকে দেখতে ভিড় জমিয়েছেন।
জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার নসরৎপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক জালাল হোসেন স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা রেখে দেশের বাইরে চলে যান। জেসমিন আক্তার ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে নানা-নানির বাড়ি উপজেলার শাওইলে বসবাস করেন। সেখানে জেসমিন আক্তার বড় হয়। শাওইল দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে জেসমিন। দুই বছর আগে জালাল হোসেন গ্রামের বাড়িতে আসেন। তাদের সংসারে এক মেয়ে ও এক ছেলে ছিল। বড় মেয়ে জেসমিন আক্তারকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়ার কথাও ভাবছিলেন তিনি। এদিকে, গত চার মাস আগে জেসমিন আক্তারের কন্ঠস্বর বদলে যেতে শুরু করে। ছেলেদের মতো কণ্ঠস্বর হতে থাকে। তারপর থেকে তার আচরণ ছেলেদের মতো হতে থাকে। ৪৫ দিনের মাথায় জেসমিন আক্তারের শারীরিক গঠন পরিবর্তন হয়ে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়। এ ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে উৎসুক জনতা তাকে দেখতে বাড়িতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন।
মেয়ে থেকে রূপান্তরিত সেই ছেলে জানায়, করোনার আগে নিয়মিত স্কুলে যেত সে। ছুটিতে থেকে এখন ছেলে জুবায়েদে পরিণত হয়েছে। তার কথায়, ‘লেখাপড়ার পাশাপাশি নামাজ, রোজা ও তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তাম। প্রথমে তেমন কিছু মনে হয়নি। তিন মাস আগে হঠাৎ একদিন আমার গায়ে জ্বর আসে। এরপর থেকে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ায় লক্ষণগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এখন আমার নাম জুবায়েদ মণ্ডল। এখন আমি পূর্ণাঙ্গ পুরুষ হিসেবে সুস্থ।’
এ প্রসঙ্গে জেসমিনের বাবা বলেন, বড় মেয়ে এখন ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ায় তার নাম রেখেছি জুবায়েদ মন্ডল। আমি অনেক খুশি হয়েছি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে।
সম্প্রতি ঢাকার শাজাহানপুরে ইসলামী হাসপাতালে ডাক্তার সৈয়দ শামসুদ্দিন আহমেদের কাছে জুবায়েদ মন্ডলকে নিয়ে যাওয়া হয়। জুবায়েদ মন্ডলের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সেই ডাক্তার জানান, তার শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ পুরুষের হরমোন থাকায় সে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর হয়েছে। সাধারনত ১৪ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এমনটি হয়ে থাকে।