মহামারী করোনা সংক্রমণ রুখতে ভ্যাকসিন, ওষুধ, অ্যান্টিবডি— সব রকম উপায়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন বিশ্বের শতাধিক বিজ্ঞানী। ভ্যাকসিন তৈরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে বিশ্বের একাধিক দেশ। করোনার চিকিৎসায় বেশ কয়েকটি কার্যকরী ওষুধও বাজারে চলে এসেছে। তবে এ সবের মধ্যেই ভাইরাসকে প্রতিহতকারী শক্তিশালী বিশেষ কোষের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি ‘সেল রিপোর্ট মেডিসিন’ (Cell Reports Medicine) নামের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত সান ফ্রান্সিসকোর গ্ল্যাডস্টোন ইনস্টিটিউটস (Gladstone Institutes)-এর বিজ্ঞানী নাদিয়া রোয়ান (Nadia Roan) জানান, CyTOF পদ্ধতির সাহায্যে শরীরের মধ্যে থাকা টি-সেলের প্রকৃতি অনুযায়ী সেগুলোকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই টি-সেল করোনা কোষের প্রোটিন আস্তরণকে ধ্বংস করে ভাইরাসের কার্যক্ষমতাকে বিনষ্ট করে দেয়।
শুধু করোনাভাইরাসই নয়, শরীরের অনাক্রম্যতার ক্ষমতা বাড়িয়ে যে কোনও রোগ-ব্যাধীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম এই বিশেষ টি-সেল! বিজ্ঞানীদের দাবি, ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে এবং একইসঙ্গে শরীরকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই টি-সেল আর অ্যান্টিবডি।
টি-সেল কী?
টি-সেল হল এক ধরণের শ্বেত রক্তকণিকা যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা ও তার (ইমিউন সিস্টেম) কার্যকলাপের অন্যতম অঙ্গ। এই টি-সেল শরীরে প্রবেশ করা ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণকে প্রতিহত করে আমাদের সুস্থতা বজায় রাখে।
গ্ল্যাডস্টোন ইনস্টিটিউটসের বিজ্ঞানীদের দাবি, মানুষের শরীরেই রয়েছে এই বিশেষ টি-সেল। এই টি-সেল মূলত কোষের মধ্যে ঢুকে ভাইরাস প্রোটিন বিনষ্ট করে সেটির কার্যকারিতা বা সংক্রমণ ক্ষমতা হ্রাস করে। বিজ্ঞানীদের প্রকাশিত এই নতুন তথ্য, স্বভাবতই করোনাভাইরাস সংক্রান্ত গবেষণায় নতুন মোড় নিয়ে এল।
: গ্ল্যাডস্টোন ইন্সটিটিউট ও জি নিউজ।