অক্সফোর্ডের তৈরি মহামারী করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে ভারতের মহারাষ্ট্রে পুনের সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। সংস্থার প্রধান আদার পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফল হলে নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিন বাজারে এসে যাবে।
তিনি আরও বলেছেন, এই ভ্যাকসিনের দাম হবে এক হাজার রুপি। এখন করোনা পরীক্ষা করাতে আড়াই হাজার রুপি লাগে। অনেক ওষুধের দাম হাজার দশেকের মতো। কিন্তু তাঁরা দাম কম রাখছেন। সরকার সম্ভবত অধিকাংশ ভ্যাকসিন কিনে তা বিনা পয়সায় সবার কাছে পৌঁছে দেবে। প্রতিটি সরকারের টিকাকরণ প্রকল্প আছে। তার অধীনেই এই ভ্যাকসিন বিনা পয়সায় পাওয়ার কথা। আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য দুই থেকে তিন ডলারে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
পুনাওয়ালার দাবি. \’আমরা লাভ করার জন্য ভ্যাকসিনের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করব না। গোটা বিশ্ব মহামারির সঙ্গে লড়াই করছে। আমাদের দর্শন হলো, এখন কম দামে ভ্যাকসিন দেওয়া। মহামারি শেষ হয়ে গেলে তখন বাণিজ্যিক স্বার্থের কথা ভাবা যাবে।
ভ্যাকসিন বাজারে আসার পর প্রথমে কারা পাবেন, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, সেটা সরকার ঠিক করবে। এখনো এ নিয়ে কথা পুরো হয়নি। তবে তাঁর ব্যক্তিগত মত হলো, যাঁরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন সেই চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী, পৌরকর্মী ও পুলিশদের প্রথমে ভ্যাকসিন দেওয়া উচিত।
সব কিছু পরিকল্পনামাফিক চললে প্রথমে কয়েক লাখ টিকা পাওয়া যাবে। উৎপাদন শুরুর এক বছরের মধ্যে ১০০ কোটি ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়া হবে। এমনিতে সেরাম ইনস্টিটিউট বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। পুনাওয়ালা বলেছেন, চলতি সপ্তাহেই বেশি সংখ্যায় ভ্যাকসিন তৈরির লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হবে। তারপর তারা ভারতে চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল চালাবেন। আগস্টে সেই পরীক্ষা হবে। এই বছরের শেষের দিকেই ৩০ থেকে ৪০ কোটি ভ্যাকসিন তাঁরা বাজারে ছাড়তে চান।