চলমান মহামারী করোনাকালে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছি আমরা! কোথাও আঁকশি দিয়ে টেনেহিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামানো হচ্ছে লাশ, কোথাও আবার পলিথিনবন্দি করেই ফেলে দেওয়া হচ্ছে বর্জ্যে। এবার ভারতে সামনে এলো করোনায় আক্রান্ত রোগীর পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশিদের অমানবিক আচরণের আরো এক কদর্য ছবি।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত আবাসিন এলাকায়। সেখানে স্বামীর সঙ্গে থাকেন যাদবপুর স্কুলের এক শিক্ষিকা। তার স্বামী ও বাড়ির পরিচারিকা করোনা আক্রান্ত। তাই ওই শিক্ষিকা ও তার স্বামীর সঙ্গে ঘৃণ্যতম আচরণ করেছেন আবাসিকের বাকি বাসিন্দারা।
প্রথমে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল পরিচারিকার, এরপর স্বামী- খবরটি দাবানলের মতো ছড়িয়ে যায় গড়িয়ার পাটুলির ওই আবাসিক এলাকায়। এরপরই ধীরে ধীরে অতি পরিচিত মুখগুলো অপরিচিত হতে শুরু করে।
শিক্ষিকার অভিযোগ, প্রথমে কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাদের সঙ্গে অনেকেই অভব্য আচরণ করতে থাকেন। কার্যত তাদের একঘরে করে রাখা হয়। শিক্ষিকা অন্তঃসত্ত্বা-তা জানার পরই মানবিক হওয়ার বদলে আরো অমানবিক চেহারাগুলো প্রকট হতে থাকে। ইদানিং সেটা মাত্রাছাড়া হওয়ায় শিক্ষিকার স্বামী প্রতিবাদ করেন।
অভিযোগ, এরপরই আবাসিকের দুই বাসিন্দা তাকে মাটিতে ফেলে লাথি মারেন। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে ধাক্কা খেতে হয় অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষিকাকেও। শিক্ষিকা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রোগী নয়, রোগকে দূরে সরান-একথা বারবার জনসমক্ষে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু খোদ কলকাতার বুকেই যদি এহেন ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত তৈরি হয়, তাহলে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে কী অবস্থা! সেটা ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। তবে এও ঠিক, নামি, কেতাদুরস্ত ঝা চকচকে ফ্ল্যাটে থাকলেই তো আর উন্নত মানসিকতার পরিচয় মেলে না! তার জন্য চাই প্রকৃত শিক্ষা! বলছেন অনেকেই।
: জি নিউজ।