দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হতে পারেন করোনাজয়ীরা!

প্রাণঘাতী করোনাজয়ীদের অ্যান্টিবডির আয়ু মাত্র ২ থেকে ৩ মাস। উপসর্গহীন রোগীদের ক্ষেত্রে তা আরও কম। তাই একবার করোনা হয়েছে বলে আর হবে না, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হতে পারেন করোনাজয়ীরা। এমন দাবি করেছেন একদল চীনা গবেষক।

চীনের একদল গবেষক দেশটির বিভিন্ন বয়সী ৩৭ জন করোনাজয়ীর আইজিজি অ্যান্টিবডি নিয়ে গবেষণা চালান। এতে দেখা যায়, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব মাত্র ২ থেকে ৩ মাস। এই সময়ের পর অ্যান্টিবডির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আর থাকছে না। ফলে, নতুন করে আক্রান্ত হতে পারেন করোনাজয়ীরা।

গবেষকদের দাবি সার্স ও মার্সের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডির আয়ু এক বছরের বেশি ছিল। তুলনায় কোভিড-নাইনন্টিন আক্রান্তদের অ্যান্টিবডির মেয়াদ অনেক কম।

হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর ওই ৩৭ করোনাজয়ীকে আরও ৮ সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা। দেখা যায়, ৮১ শতাংশ উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। বিপরীতে লক্ষণযুক্ত মাত্র ৬২ শতাংশের অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। কিন্তু উপসর্গহীন রোগীর অ্যান্টিবডি কেন কম- তার ব্যাখ্যা দেননি গবেষকরা।

এদিকে, ‘ন্যাচার মেডিসিন’ জার্নালে সদ্য প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অন্য বিজ্ঞানীরা। কারণ মাত্র ৩৭ জন রোগীর আইজিজি অ্যান্টিবডি নিয়ে পরীক্ষাটি চালানো হয়। পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলে সীমাবদ্ধ এ গবেষণার ফলাফল অন্য অঞ্চলের চেয়ে ভিন্ন হতেও পারে বলে মনে করেন তারা।

Scroll to Top