গোটা বিশ্বে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে মহামারী করোনা। বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত ৭৪ লাখ ৫৯ হাজার ৭৪১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অপরদিকে মারা গেছেন ৪ লাখ ১৯ হাজার ৪১ জন।
বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনায় দিন দিন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। করোনা চিকিৎসার ওষুধ এবং টিকা উদ্ভাবনের জন্য হন্যে হয়ে কাজ করছেন চিকিৎসক ও গবেষকরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত করোনার চিকিৎসা পদ্ধতি কিংবা টিকা আবিষ্কার হয়নি।
এখন পর্যন্ত মার্কিন ওষুধ রেমডেসিভির কিছুটা কাজ করছে। তবে সেটারও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। আবার বিশ্ববাসী ওই ওষুধ চাইলে শিগগিরই চাহিদা পূরণ করাও সম্ভব নয়।
এজন্য রোগীদের বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এরই মধ্যে ব্রিটেনের গবেষকরা ক্যান্সারের ওষুধ অ্যাস্ট্রাজেনেকা কিংবা একালাব্রটিনিব গ্রুপের ক্যালকুইন্স ওষুধ পরীক্ষা করেছেন। যদিও এই ওষুধেরও কিছু সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। এই ওষুধ কোমল পানীয় কোকাকোলার সঙ্গে মিশিয়ে রোগীকে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পেনরোজ হসপিটাল এবং সেন্ট ফ্রান্সিস মেডিকেল হসপিটালে রোগীদের ওপর ক্যালকুইন্স পরীক্ষা করেছেন। ১০ থেকে ১৪ দিন এভাবে চিকিৎসা দেওয়ার পর ১১ জনের ৯ জন রোগী সেরে গেছেন।
জানা গেছে, সেরে ওঠা দুই রোগী আবার লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। তারাও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে চলতি বছরের এপ্রিলে। আক্রান্তের শুরুতেই এই ওষুধ বেশ কাজের। তবে দেরি হয়ে গেলে এই ওষুধের কার্যকারিতা কম। পরে ২০০ জন রোগীর ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ক্যালকুইন্স ব্যবহারের পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউটের সেন্টার ফর ক্যান্সার রিসার্চ এর গবেষকরা এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। এছাড়া ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকটিয়াস ডিজিস এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের ওয়াল্টার রেড ন্যাশনাল মিলিটারি হসপিটাল ওই পরীক্ষা পর্যবেক্ষণে ছিল।
জানা গেছে, ওষুধটি ক্যাপসুল কিংবা ট্যাবলেট আকারে থাকে। করোনা রোগীদের অনেকেই ওষুধটি খাওয়ার পর্যায়ে থাকেন না। সে কারণে ওষুধটি গুঁড়া করে কোকাকোলার সঙ্গে মিশিয়ে নলের সাহায্যে রোগীকে দেওয়া হয়।