প্রাণঘাতি নোভেল করোনাভাইরাসের তাণ্ডবলীলার মধ্যেই এর দ্বিতীয় সংস্করণ হিসেবে জুটেছে গ্যাস্ট্রো-করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন গ্যাস্ট্রো-করোনাভাইরাসের সংক্রমণে।
তবে নোভেল করোনার পাশে গ্যাস্ট্রো-করোনার সংক্রমণ এতটাই সীমিত যে এ নিয়ে বেশি চর্চা না হওয়ায়, আমাদের কাছে অজানাই থেকে গেছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এটি আলাদা কিছু নয়, করোনাভাইরাসেরই দ্বিতীয় সংস্করণ। তাই উপেক্ষা না করে, গ্যাস্ট্রো-করোনাভাইরাসের লক্ষণ জেনে রাখা জরুরি।
নোভেল করোনাভাইরাসে জ্বর-সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা যায়। আক্রমণের লক্ষ্য শ্বাসনালী। প্রথম দিকে সাধারণ সর্দি-কাশির সঙ্গে অনেকে গুলিয়ে ফেলেন। বা করোনা পজিটিভ হওয়া সত্ত্বেও কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, এমনটাও ঘটছে। কিন্তু গ্যাস্ট্রো-করোনাভাইরাস আক্রমণ করছে পেটে।
পেটে মোচড় দেওয়া, এমনকি ডায়েরিয়াও গ্যাস্ট্রো-করোনাভাইরাসের অন্যতম লক্ষণ। কম লক্ষণযুক্ত পেটে উদ্ভূত এই গ্যাস্ট্রো-করোনাভাইরাস এখন চিকিত্সকদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ করোনার উপসর্গের সঙ্গে মিল না থাকাতেই সমস্যা বেড়েছে। অনেক সময় চিকিত্সকেরা বুঝে উঠতে পারছেন না। তবে নোরোভাইরাসের সঙ্গে এর লক্ষণের অনেকটা মিল পাওয়া যায়।
সুতরাং আমাদের জানতে হবে গ্যাস্ট্রো-করোনাভাইরাস কি? এর উপসর্গই বা কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাস প্রথমে কোনও ব্যক্তির শ্বাসযন্ত্রে আক্রমণ করার পরিবর্তে পেটে আক্রমণ করে। কাশির সাধারণ উপসর্গ দেখা যায় না। এককথায়, ফুসফুসের নীচের অংশে নিউমোনিয়ার একটি সংস্করণ। সে কারণে পেটে ব্যথা হয়।
চিকিত্সকেরা জানাচ্ছেন, যদি কোনও ব্যক্তির পেটে ব্যথা অনুভব হয় বা ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয় তবে, এটি গ্যাস্ট্রো-করোনাভাইরাসর প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। পেটে শক্ত কিছু অনুভূত হতে পারে, পেট ব্যথা বা পেটের নিচের অংশে নিস্তেজ ব্যথা হতে পারে। এগুলো প্রাথমিক লক্ষণ।
এরপর কাশি ও জ্বরের মতো সাধারণ উপসর্গগুলো আসবে। এই লক্ষণগুলি পেটের অন্য অসুখ থেকেও হতে পারে। তাই গ্যাস্ট্রো-করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না, সেটা বুঝতে পর্যবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম দিকে পেটব্যথা ও ডায়েরিয়া। ক্রমে ক্রমে অবিরাম কাশি ও উচ্চ তাপমাত্রা জ্বর আসবে। ফলে, পেটেব্যথা বা পেটখারাপের সঙ্গে জ্বর-কাশি থাকলে, ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। গ্যাস্ট্রো-করোনাভাইরাসকে নোরোভাইরাসও বলা হচ্ছে।