জোর করে দেহ ব্যবসা করানো ও তাদের উপর অত্যাচার করার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ এই ঘটনার সঙ্গে নামী ব্যবসায়ীরাও জড়িত রয়েছেন যারা কোটি টাকার বিনিময়ে কুমারী মেয়েদের কিনে নিতেন৷ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা চিনের শানক্সি প্রদেশের৷
জানা যায়, স্কুল পড়ুয়াদের কোটি টাকার বিনিময়ে কেনার পর ব্যবসায়ীদের একটি দল তাদের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ‘উপহার’ হিসেবে দিতেন৷ যারা ওই নাবালিকাদের যৌন শোষণ করতেন ও তাদের উপর নৃশংস অত্যাচার চালাতেন৷ এই ঘটনার পুলিশ একাদশ শ্রেণির ছয়জন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে৷ যদিও তাদের মধ্যে একজনের বয়স ১৬ বছরের কম হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷
টিওআইয়ে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই ঘটনা একেবারেই পূর্ব পরিকল্পিত৷ ব্যবসায়ীরা স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের কুমারি মেয়ে নিয়ে আসার জন্য প্রায় দুই কোটি টাকা দিতেন৷ এই ছাত্রীরা দশম শ্রেণীর ছাত্রীদের ফাঁসিয়ে ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিত৷ এদের একাধিক লোক ধর্ষণ করত ও অত্যাচার চালাত৷
পুলিশ সূত্রে খবর, সাতজন একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী পাঁচজন দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে হুমকি দেয় ও তাদের নগ্ন ছবি তোলে৷ নগ্ন ছবির সাহায্যে তারা নিচু ক্লাসের ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেল করতে থাকে৷ এই অত্যাচারের কারণে দুই ছাত্রীর সহ্যের বাঁধ ভেঙে যায় তারা এই বিরুদ্ধে সরব হয়৷ স্থানীয় টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে নির্যাতিতারা কিছু ছবি প্রকাশ করে যেখানে গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল৷
নির্যাতিতাদের বাবা জানিয়েছেন, দশম শ্রেণীর পাঁচ ছাত্রী যখন আধিকারিকদের সঙ্গে সহবাস করতে অস্বীকার করে তখন তাদের মারধর করা হয় ও শারীরিক সম্পর্ক তৈরির জন্য বাধ্য করা হয়৷ অভিযুক্ত একাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের মধ্যে একজন ব্যবসায়ীদের থেকে ১.২ কোটি টাকা নিয়েছিল৷ অন্য এক ছাত্রী ৮০ লক্ষ টাকা নিয়েছিল৷ ব্যবসায়ীরা তাদের বলেছিল, উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেওয়ায় জন্য তারা কুমারী মেয়েদের তাদের কাছে পাঠায়৷
যদিও এই মামলায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী ও আধিকারিকদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি৷ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক আধিকারিককে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে৷ এছাড়াও চিনা সরকার স্কুল প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগকেও কড়া বার্তা জানিয়েছেন৷ এ খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম কলকাতা ২৪।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৯ ঘণ্টা, ০৭ অক্টোবর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/নীল