করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সবাই সচেতন। তাই নিয়মিত বাসাবাড়িতেও জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা চাই।
ঘর খোলামেলা রাখতে হবে। জানালা খুলে দাও, যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আসতে পারে। দিনে একবার সব আসবাব ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কার করবে। কিছুদিন পর পর সোফার কাভার, বিছানার তোশক রোদে দিতে হবে। ফলে ব্যাকটেরিয়াসহ জীবাণু মরে যাবে।
দরজা-জানালার পর্দাসহ আসবাবের কাভার ধোয়ার সময় ডিটারজেন্টের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ জীবাণুনাশক, যেমন স্যাভলন কিংবা ডেটল মিশিয়ে নিতে পারো। কাপড় রোদে বা ফ্যানের বাতাসে পরিপূর্ণ শুকাতে হবে। হালকা ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে ভাব যাতে না থাকে। কারণ স্যাঁতসেঁতে কাপড়ে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে।
অনেকেই দাঁত ব্রাশের পরে টুথব্রাশ খোলা রেখে দেন। সারা রাতে তেলাপোকা, মাকড়সাসহ ছোট অণুজীবগুলো লাগতে পারে টুথব্রাশে। তাই ব্রাশে ঢাকনা লাগান বা ব্রাশের বক্সে ভরে রাখুন।
অনেক সময় পরিষ্কার করে ধোয়া কাপড়েও ছত্রাক সংক্রমণ হয়। কাপড়ে স্যাঁতসেঁতে ভাব থাকলে এই অবস্থা হয় বেশি। বাসায় রোদ কম এলে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে দূর করতে পারেন কাপড়ের স্যাঁতসেঁতে ভাব।
সঙ্গে পকেট সাইজ হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। বাইরে থেকে এসে বাসার দরজার হাতল না ধরে আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত কোরো। তারপর দরজা খুলো। অন্যদিকে বাসার আসবাব জীবাণুনাশকযুক্ত পানি দিয়ে সপ্তাহে একবার মুছতে পারো।
ফুলদানির ফাঁকে, পর্দার কাপড়ে বাসা বাঁধতে পারে অণুজীব। তাই সপ্তাহে অন্তত একটি দিন এগুলো মুছে পরিষ্কার রাখুন। টিভির ট্রলিতে ড্রয়ার থাকলে সেখানেও স্প্রে করুন।