নোয়াখালীতে ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেফতার

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় অপহরণের পর ধর্ষণের ঘটনায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুণ্ডু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এর আগে, একই দিন দুপুরে নোয়াখালী পৌরসভা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার মো. সুজন (৩১) সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের হেঞ্জু মিয়ার ছেলে।

র‍্যাব জানায়, ভিকটিম (১৪) সদর উপজেলার স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। মো. সুজন প্রতিবেশী ওই কিশোরীকে প্রাইভেট পড়াতেন। প্রাইভেট পড়ানোর সুবাধে ওই শিক্ষক অসৎ উদ্দেশে ওই কিশোরীকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখাতেন। ছাত্রীর মা বিষয়টি টের পেয়ে তার বাবাকে জানান।

ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, প্রাইভেট শিক্ষক তাকে গোপনে চট্টগ্রামে বেড়াতে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব দেন।

র‍্যাব আরও জানায়, এ বিষয়ে বিপদের আশংকা করে মেয়ের প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ করে দেন বাবা এবং মেয়ের মানসিকতার বিষয় বিবেচনা করে বেড়ানোর জন্য পাঠিয়ে দেয়।

২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সুজন ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নোয়াখালী থেকে ফেনী জেলায় নিয়ে যান। পরে ফেনী থেকে মেয়ে ও অভিযুক্ত শিক্ষককে এবং স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিজ্ঞাসাবাদে বিবাদী ভিকটিমকে তার বিবাহিত স্ত্রী বলে দাবি করেন। কিন্তু বিয়ের স্বপক্ষে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা নিজে বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে মামলা রুজু হয়।

উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত বিবাদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করলে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘গ্রেফতার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সুধারাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।