কুমিল্লায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ৫

কুমিল্লার লাকসামে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। রোববার (১৬ মার্চ) এ ঘটনায় নারীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, লাকসাম উপজেলার মনোহরপুর এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২৫), পৌরসভার শ্রীপুর মধ্যপাড়ার মো. মমিনের ছেলে মো. মাসুদ (২৩), বাতাখালী এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মনির হোসেন হৃদয় (২৩), উত্তর বিনই এলাকার মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আল আমিন (২৩) ও মধ্য লাকসাম এলাকার মৃত মোস্তাফিজ মজুমদারের স্ত্রী বিলকিছ আক্তার কল্পনা (৪০)।

ওই দম্পতির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নোয়াখালীর সোনাপুর এলাকার এক তরুণী ও তার স্বামী গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) লাকসামে তার নানা শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরদিন শুক্রবার (১৪ মার্চ) ওই দম্পতি বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে লাকসাম বাইপাস মোড় থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। অটোরিকশা চালক মো. মাসুদ তাদের স্বামী-স্ত্রী কিনা জানতে চেয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে কৌশলে লাকসামের গন্ডামারা এলাকায় নিয়ে যান। এ সময় মাসুদের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া অন্য অভিযুক্তরা যোগ দেন।

পরবর্তীতে অটোরিকশা চালক মাসুদ ও অন্যরা তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে এবং পরিকল্পিতভাবে লালমাই উপজেলার মগবাড়ি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে স্বামীকে ফেলে রেখে ভিকটিমকে লাকসামের পাইকপাড়া এলাকায় সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের শ্যালক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলীর একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্ত মো. মাসুদ ও মো. আলী তাকে ধর্ষণ করে। বাড়িটি ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ক্ষুব্ধ জনতা ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর থেকে সেখানে কেউ বসবাস করতো না।

পুলিশ আরও জানায়, এরপর ভিকটিমকে লাকসাম পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের তালুকদার ভিলায় বিলকিছ আক্তার কল্পনার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সেখানে শনিবার আবারও ধর্ষণ করা হয় তাকে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ওই গৃহবধূ উদ্ধার হন। এ ঘটনায় রোববার লাকসাম থানায় মামলা দায়ের করেন ওই নারীর মা।

রাতে লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, ভিকটিম পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রোববার দিনভর অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার (১৭ মার্চ) তাদের আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।