কিশোরীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ: ৭ যুবক আটক

কক্সবাজারের চকরিয়ায় কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাত যুবককে আটক করা হয়েছে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাত থেকে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত চকরিয়া ও মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন: চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কলেজপাড়ার মোহাম্মদ ইসহাকের ছেলে মোহাম্মদ কাজল (২৩), একই ইউনিয়নের টুটিয়াখালী পাড়ার মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে মো. বশির (৩৮), ঢেমুশিয়াপাড়ার আব্দুস সোবহানের ছেলে মো. শাহজাহান (২৭), বদরখালীর বাজারপাড়ার জিয়বুল করিমের ছেলে তাজুল ইসলাম (১৮), নুরুল আফসারের ছেলে সজীব (২৫), টুটিয়াপাড়া এলাকার বশির আহমদের ছেলে ছোটন (২৫), দাতিনাখালী আবু ছাহের ছেলে অমিত হাসান (২৫)।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে জড়িতদের আটকে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। মঙ্গলবার বিকেলে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী থেকে দুজনকে ও মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর এলাকা থেকে দুজনকে আটক করা হয়।

এর আগে সোমবার মধ্যরাতে বদরখালীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী ও পরিবারের কেউ এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

মনজুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনো এজাহার দায়ের হয়নি। গ্রেফতারদের সন্দিগ্ধ আসামি দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীর শনাক্তের ভিত্তিতে তাদের আসামি করা হবে।’

মনজুর কাদের জানান, ভুক্তভোগী কিশোরী এখন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি এখনো শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ নন। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আটকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।

উল্লেখ্য, গত রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম থেকে বাসে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী স্টেশনে পৌঁছায় ওই কিশোরী। পরে সেখান থেকে মহেশখালীর গ্রামের বাড়ি ফিরতে বদরখালী-মহেশখালী সংযোগ সেতুর পূর্বাংশে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে তুলে পার্শ্ববর্তী প্যারাবনে নিয়ে যায়। পরে সেখানে আট যুবক মিলে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়।

এ দিকে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার বদরখালী স্টেশন, চকরিয়া উপজেলা সদর এবং কক্সবাজার শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।

Scroll to Top