বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিমে মাছ ধরার ট্রলারে হামলা করেছে জলদস্যুরা। এ সময় ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে মাঝি ও ১৯ জন জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। গুলিতে মাঝি আহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভোর রাতে দ্বীপের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রামের বাশখালীর ইসমাইল কোম্পানির ‘এফ বি আল্লাহর দয়া’ নামের মাছ ধরার ট্রলারে এ হামলা হয়।
নিহত মাঝির নাম মোকাররম হোসাইন। তিনি কুতুবদিয়া উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়ার জাফর আহমদের ছেলে। তার স্ত্রী রহিমা বেগম স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার। অপরদিকে, অপহৃত সবার বাড়ি কুতুবদিয়ার বিভিন্ন গ্রামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম।
জলদস্যুদের কবল থেকে ফেরা জেলে জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, সোমবার ২১ মাঝিমাল্লাসহ সাগরে মাছ ধরতে যান তারা। এক পর্যায়ে মহেশখালীর সোনাদিয়া থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সাগরে মাছ ধরতে জাল ফেলেন তারা। বৃহস্পতিবার ভোররাত ৩ থেকে ৫টার মধ্যে জলদস্যুদের কবলে পড়েন। দস্যুদের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করতে চান মাঝি। দস্যুরা ট্রলারটি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকলে ট্রলারের মাঝি গুলিবিদ্ধ হন।
পরে ডাকাতি করতে আসা ট্রলারে মাঝিকে তুলে দেয় জলদস্যুরা। একপর্যায়ে মাঝি গুলিবিদ্ধ হওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখে জয়নালও কৌশলে ওই ট্রলারে লাফ দেয়। এ সময় ট্রলারে থাকা ১৯ জেলেসহ ট্রলারটি নিয়ে যায় জলদস্যুরা। পরে তিনি ট্রলারটি চালিয়ে মাঝিকে নিয়ে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে বাশখালী এলাকায় মাঝি মোকাররম মারা যান।
তিনি আরও বলেন, জলদস্যুদের দলে ১০ থেকে ১২ জন ছিল। অন্ধকার হওয়ায় কাউকে চেনাও যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইতোমধ্যে মাঝির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম।