দাফনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন, হঠাৎ প্রাণ ফিরল ‘মরদেহে’!

মোংলায় মৃত্যুর খবর প্রচারের ৭ ঘণ্টা পর হঠাৎ এক নারী জীবিত হয়ে ওঠার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দিনগত রাত ২টার দিকে মৃত্যুর খবর হলে ভোরে মসজিদে মাইকিং করা হয়। সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় লোকজন তার বাড়িতে গিয়ে জানতে পারেন তিনি জীবিত। মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের দক্ষিণ হলদিবুনিয়া এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মোংলা উপজেলার দক্ষিণ হলদিবুনিয়া এলাকায় দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছেন জলিল শেখ ও শাহিনা বেগম দম্পতি। কিছুদিন আগে শাহিনা বেগম শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের পক্ষ থেকে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসাও করানো হয় তাকে। কিন্তু এতে সে সুস্থ না হলে বেশ কয়েকদিন ধরে শয্যাশায়ী হয়ে থাকেন।

মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে তার কোনো সাড়া শব্দ বা নড়াচড়া না থাকায় পরিবারের লোকজন তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করেন। ভোরে স্থানীয় কয়েকটি জামে মসজিদে মৃত্যুর খবরে মাইকিংও করানো হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। এছাড়া গোসল, জানাজা ও দাফনের সব সরঞ্জামাদিও প্রস্তুত করেন পরিবারের স্বজনরা। পাশে বসে কোরআন পাঠও করেন অনেকে।

শাহিনা বেগমের মৃত্যুর খবর স্থানীয়দের কাছে ছড়িয়ে পড়লে শেষ বারেরমতো একনজর দেখার জন্য ছুটে যান প্রতিবেশীরা। সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ জীবিত হয়ে ওঠেন তিনি। এ দৃশ্য দেখে হতবাক সবাই। মুহূর্তের মধ্যে ‘মৃত’ ব্যক্তি জীবিত হওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মানুষ তার বাড়িতে ভিড় জমায় একনজর দেখার জন্য। তবে মৃত্যুর মতো এমন খবর সঠিকভাবে না জেনে প্রচার করা ঠিক হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা।

চিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী আকবার হোসেন বলেন, ‘এলাকার চৌকিদারের মাধ্যমে বড় বাড়ির নারীর মৃত্যুর খবর আসে। এছাড়া মৃত ব্যক্তিকে গোসল ও দাফন করানোর প্রস্তুত নেয়া হয়েছিল। তবে ব্যস্ততার কারণে ওই সময় তার বাড়িতে দেখতে যেতে না পারলেও সকালে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন তিনি। কিন্তু সকাল ৮টার দিকে জানতে পারেন ‘তিনি মৃত্যুবরণ করেননি, জীবিত আছে।’

তবে শাহিনা বেগমের মৃত্যুর খবর প্রচারের পর পুনরায় জীবিত খবর হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মৃতুর খবর প্রচারের পর জীবিত হওয়া শাহিনা বেগম ৪ সন্তানের জননী, তিনি মিঠাখালী সাহেবের মেঠ এলাকার আমির গাজীর মেয়ে।

Scroll to Top