রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১২জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৭জন বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে বালিয়াকান্দিতে থমথম অবস্থা বিরাজ করছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বালিয়াকান্দি চৌরঙ্গী মোড়ে দু’গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া ব্যক্তিরা হলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নু, ইলিশকোল গ্রামের কালাম শেখের ছেলে আলম শেখ, একই গ্রামের হাসেম ভুঁইয়ার ছেলে জাহিদুল ভুঁইয়া, বালিয়াকান্দি গ্রামের মৃত ইদ্রিস মোল্লার ছেলে রুবেল মোল্লা, সাঈদ শিকদারের ছেলে আরিফ শিকদার, আমতলার কালু মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া, পথচারী বালিয়াকান্দি গ্রামের বাদশা মোল্লার ছেলে ফিটু মোল্লা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার ভুঁইয়াকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নুর ছেলেসহ তার গ্রুপের লোকজন লাঞ্ছিত করে। বিষয়টি জানাজানি হলে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বালিয়াকান্দি শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে দু’গ্রুপ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
এ সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে রাজবাড়ী জেলা শহরের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে স্থাপিত আর্মি ক্যাম্প হতে ক্যাপ্টেন মোঃ এনামুল হাসানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ও বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওই ঘটনার সাথে জড়িত উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার মশিউল আলম চুন্নু(৫৫) সহ ৩জন বিএনপির কর্মীকে আটক করে যৌথ বাহিনী। আটককৃতদের মধ্যে ২জন সংঘর্ষে আহত হওয়ায় তাদেরকে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। গ্রেফতারকৃত ৩জন থানা হেফাজতে রয়েছে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম শওকত সিরাজ বলেন, সংঘর্ষের পর চুন্নুর নেতৃত্বে আমার বাসভবনে আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয়।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি জামাল উদ্দিন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ ঘটনায় চুন্নুসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।