অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘর্ষের পর শান্ত হতে শুরু করেছে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির পরিস্থিতি। অন্যদিকে হামলার প্রতিবাদে তিন পার্বত্য জেলায় চলছে জুম্ম ছাত্র জনতার অবরোধ কর্মসূচি।
আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই রাঙামাটিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কে দেখা যায়নি থ্রি-হুইলার বা রিকশাও।
প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা অব্যাহত থাকায় বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ।
এদিকে, দীঘিনালা ও রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস, ট্রাক ও সিএনজি সমিতি। সেই সাথে ৭২ ঘণ্টা অবরোধের ডাক দিয়েছে ইউপিডিএফসহ ৪টি সংগঠন।
খাগড়াছড়িতেও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। শুক্রবার রাত ৯টায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় জনমনে স্বস্তি ফেরাতে যৌথভাবে কাজ করছে পাহাড়ি-বাঙালীদের ‘শান্তি সম্প্রীতি কমিটি’।
তবে জুম্ম ছাত্র জনতার ডাকে সকাল থেকে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ চলছে। বন্ধ আছে দূর ও অভ্যন্তরীণ সড়কে যান চলাচল। তবে শহরে সীমিত আকারে হালকা পরিবহন চলছে। সেনাবাহিনীর প্রহরায় পর্যটকদের সাজেক যেতেও দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে গত বৃহস্পতিবার রাতভর জেলা সদরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। রাতে গোলাগুলি ও বিকেলের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আর আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
শুক্রবার সকালে এ ঘটনার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ করে পাহাড়ি ছাত্র-জনতা। এতে পাহাড়ি-বাঙালি সংর্ঘষে রূপ নেয়। বিক্ষোভ করার সময় দোকান, মসজিদ ও গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে।
পরে কনরুপা এলাকার ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দেয়। এতে সংর্ঘষ বাধে। এ সময় শহরের বিভিন্নস্থানে দুই পক্ষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া যায়। এতে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার খাগড়াছড়ি সদরের পানখাইয়াপাড়ায় চুরির অভিযোগে মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার বিচারের দাবিতে দীঘিনালায় বিক্ষোভ চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ সময় দুর্বৃত্তরা ৮০টির মতো দোকান ও বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর জেরে জেলার বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।