গত ৪-৫ দিন ধরে বৃষ্টি না থাকলেও লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বন্যা পরিস্থিতির তেমন একটা উন্নতি হয়নি। এর কারণ হিসেবে ভূলুয়া নদী ভরাট ও বেদখলকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা চর বাদাম, চর আলগী ও পোড়াগাছা ইউনিয়নের বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর অধিকাংশ সড়কগুলোর কোথায়ও হাঁটুসমান বা কোথায়ও হাঁটুর পানির নিচে, কোথায়ও বুক সমান পানি। বেশির ভাগ বসতঘরে এখনো পানি। তবে কিছু কিছু বসতঘর থেকে পানি নামলেও সেগুলো এখনো বসবাস উপযোগী হয়নি। এ কারণে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকজনও এখনই বাড়ি ফিরতে চাইছেন না।
চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের মধ্য কলাকোপা ডাক্তারপাড়া নোমানাবাদ সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় নেওয়া গৃহিণী শিরিন আক্তার বলেন, ‘বাড়ির উঠানে এখনো কোমর পরিমান পানি। ঘরের মেঝেতে হাঁটু পানি। ঘরের কাঁচা ভিটা পুরোটা নষ্ট হয়ে গেছে। থাকার উপায় নেই। তাই আরও আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, ‘পানি নিষ্কাশনের জন্য ভূলুয়া নদীসহ খালগুলোতে অবৈধভাবে স্থাপিত বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ইতোমধ্যে অপসারণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সুইজ গেইট খুলে দেওয়া হয়েছে। সব এলাকার পানি নামছে ধীরগতিতে। এতে লোকজনের কষ্ট যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণও।’
বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষদের সরকারি-বেসরকারি ভাবে ত্রাণ দেওয়া অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২১টি আশ্রয় কেন্দ্রে এখনো ৫-৬ হাজার মানুষ আছে। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতায় তাদের প্রতিদিন দুবেলা রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১০ মেট্রিক টন চাল ও ৫ লাখ টাকার গো-খাধ্য ও শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’