রাজশাহীতে দুই নারীকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) মহানগরীর আসাম কলোনি এলাকার এ ঘটনায় শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাতে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী রফিকুল ইসলাম নগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেছেন। নির্যাতনকারীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনকারী নয়, বিষয়টি নিশ্চিত করার পর তাদের পরামর্শে নির্যাতনের থানায় মামলা করা হয়। এজাহারে বাদীর স্ত্রী ও তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়।
নগরীর চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন জানান, বাদী রফিকুল ইসলাম ফরিদপুরের বাসিন্দা। তবে ৪০ বছর ধরে রাজশাহীতে বসবাস করেন। নগরীর আসাম কলোনির স্বপন হাসানের বাড়ির একাংশ ভাড়া নিয়েছেন। মামলার এজাহারে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগও করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, মামলায় আসাম কলোনির বাসিন্দা শাহিন, তার স্ত্রী সাহিদা বেগম, ১৬ বছরের এক কিশোরী ও মনিরের মেয়ে মুক্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কথিত ছাত্রদের পরিচয় ভুক্তভোগীরা পাননি, তাই অজ্ঞাত হিসেবে তাদের আসামি করা হয়েছে।
বাড়ির মালিক স্বপন হাসান বলেন, ‘‘বুধবার রাতে মামলা করতে চাইলে ওলিউল্লাহ নামের একজন ছাত্র পরিচয় দিয়ে মীমাংসার কথা বলেন। ওই রাতে রফিকুল ইসলাম থানায় জিডি করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওলিউল্লাহ আসেন। একজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ছাত্র শুয়াইব আহমেদ। আন্যজন শাহ মখদুম নার্সিং কলেজের কোয়েল আক্তার মানিক। এসময় শুয়াইব আহমেদ বলেন, ‘তাদের ভুল বুঝিয়ে ডেকে আনা হয়। তাদের ভুল হয়েছে। তিনি সাদা কাগজে লিখে দিয়ে যান- কেউ যদি বাড়ির ক্ষতিপূরণ না দেয়, আমি ওয়ালিউল্লাহ নিজেই দিব।’ এরপর তাকে আর পাওয়া যায়নি। পরে আরও দু’জন আসেন। তারা ঘটনা শুনে বলেন, ‘হামলাকারীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনের কেউ নন। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নিন। পরে থানায় মামলা করা হয়।’’
এদিকে ভুক্তভোগীরা বলেন, ‘প্রতিবেশি শাহিনের অটোরিকশা গ্যারেজের শব্দদূষণ নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এরপর কথিত ছাত্রদের ডেকে এনে হামলা চালানো হয়।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, ‘এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। তাদের সমন্বয়করা এমন কাজে জড়িত নন। সমন্বয়ক নামে নানা জায়গায় নানা ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে সবার সচেতন হওয়া দরকার। তারা বন্যাদুর্গতদের সহায়তায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।’