ঈশ্বরদীতে অপহরণের ৭ দিন পর এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ জুলাই) তাকে অপহরণ করা হয়। শনিবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে পৌর এলাকার শৈলপাড়ায় শরীফুজ্জামানের চারতলা বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত বৃদ্ধের নাম সিরাজ ফকির (৬০)। তিনি রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করতেন। সে ঈশ্বরদীর লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কৈকুন্ডা গ্রামের জলিল ফকিরের ছেলে।
শেরেই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত নিহতের ছেলে আল আমিন জানান, গত ২৪ তারিখে বাবাকে অপহরণের পর বাবার ফোন থেকে কল দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তখন আমি বলি, ঢাকায় আছি এসে টাকা দেব। আমার বাবার যেন কিছু না হয়। ঢাকা থেকে এসে গত ২৬ আগস্ট থানায় জিডি করি। অপহরণকারী বার বার ফোন দিয়ে বিভিন্ন স্থানে যেতে বলে। পুলিশও চেষ্টা করতে থাকে। একপর্যায়ে আমি বলি বাবার গলা শুনতে চাই। কিন্তু তারা তা না করে আমাকে অশ্রাব্যভাবে গালিগালাজ করে। আজ পুলিশের কাছে খবর পেয়ে অর্ধগলিত লাশ পাই।
শৈলপাড়ার বাড়ির মালিক উত্তরা ব্যাংকের কর্মচারী শরীফুজ্জামান জানান, প্রায় মাসখানেক আগে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে আইডি কার্ড দিয়ে বাসা ভাড়া নেওয়া হয়। কয়েকদিন আগে নানা পরিচয় দিয়ে নিহত বৃদ্ধকে এখানে আনা হয়। এরপর আর কিছু জানি না। ওই বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হলে এবং বাসায় কাউকে না পেয়ে পুলিশে খবর দেই। পুলিশ এসে বাথরুম থেকে লাশ উদ্ধার করেছে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, থানায় অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছিল। শৈলপাড়া থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, পাশাপাশি আসামি গ্রেফতারে এবং রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।