উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী আখাউড়া ও কসবা উপজেলা ৬০টি প্লাবিত হয়েছিল। পানি নেমে যাওয়ার পর বাসিন্দাদের মধ্যে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ দেখা দিচ্ছে। ভারতের ত্রিপুরার হাসপাতাল ও শিল্প কারখানার বর্জ্যমিশ্রিত পানির কারণে স্বল্পমেয়াদি বন্যাতেও ব্যাপক হারে চর্মরোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে বাসিন্দারা।
জেলার আখাউড়া-আগরতলার সীমান্ত থেকে কালন্দি খালের উৎপত্তি। খালটি গাজীর বাজার ও বড় বাজার হয়ে নদীতে গিয়ে মিশেছে। ত্রিপুরার আগরতলার পানি এই খাল দিয়েই প্রবাহিত হয়ে থাকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কালন্দি খাল দিয়ে আগরতলার ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ডাইং, চামড়া ও মেলামাইনসহ বিভিন্ন কারখানার বর্জ্যমিশ্রিত পানি কালন্দি ছাড়া হয়। এর ফলে তারা পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. বেলায়েত হোসেন জানান, পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। তারা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সার্বক্ষণিক কাজ করছে। তাছাড়া, পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ মজুদ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, নলকূপগুলোকে চালু করা গেলে বাসিন্দারা বিশুদ্ধ পানি পাবে। এর ফলে পানির সাথে ভেসে আসা বর্জ্যের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে বাসিন্দারা রক্ষা পাবে।
উল্লেখ্য, ইটিপি প্ল্যান্টের মাধ্যমে বিষাক্ত পানি পরিশোধন করে ছাড়ার কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করেনি ত্রিপুরা রাজ্য সরকার।