কক্সবাজারের চকরিয়ায় ২০০ একরের চিংড়িঘের দখল, লুটপাট ও চাঁদাবাজির অভিযোগে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও জাফর আলমসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় আরও ৬০ থেকে ৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন উপজেলার ফাঁসিয়াখালীর পশ্চিম পুকপুকুরিয়া এলাকার বাসিন্দা আলী হায়দার (৫৯)। আদালতের বিচারক প্রবাল চক্রবর্তী আবেদনটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আলী হায়দারের আইনজীবী মিফতাহ্ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আদালত বাদীর আবেদনটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান এবং জাফর আলম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। মামলায় জাফর আলমকে ১ নম্বর ও সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। অন্যদের মধ্যে চিরিংগা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ও বদিউল আলমসহ ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেছেন, দলিলমূলে ২০০৫ সালে বিভিন্ন ইজারাপ্রাপ্ত ব্যক্তির থেকে ২০০ একর চিংড়িঘের নিয়ে মাছ চাষ ও অন্যান্য কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিলেন আলী হায়দার। আসামিরা ইজারার চিংড়িঘের থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে ঘের দখলসহ নানা হুমকি দেন। ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি সকাল ১০টায় সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা ফাঁকা গুলি করতে করতে ইজারা করা চিংড়িঘের দখল করে নেন। ঘেরে থাকা ১৫ লাখ টাকা দামের দুটি ইঞ্জিনচালিত বোট, ৫টি নৌকা, ৫ লাখ টাকার ১০০টি ছাগল, ১০ লাখ টাকার ২০টি মহিষ ও চিংড়িঘেরে থাকা পাঁচটি টংঘর, ১০টি জালসহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয় এজাহারে।
মামলার বাদী আলী হায়দার বলেন, ‘আসামিরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ও ডাকাত প্রকৃতির লোক হওয়ায় এত দিন মামলা করতে সাহস পাইনি। এখন তাঁদের প্রভাব নেই। আশা করছি, বিচার পাব।’