প্রথম দফায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার গণনায় কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে জমা হওয়া টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে পাঁচ কোটি। আজ শনিবার বেলা একটা পর্যন্ত এ তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে সকাল সাড়ে সাতটায় টাকা গণনা শুরু হয়। এবার ৯টি দান সিন্দুক খুলে রেকর্ডসংখ্যক ২৮ বস্তা টাকা, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গেছে।
আজ বেলা একটা পর্যন্ত গণনায় পাঁচ কোটি টাকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মসজিদটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত উদ্দিন ভূইয়া। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত টাকা গণনা চলছিল।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের সিন্দুকগুলাো তিন থেকে চার মাস পরপর খোলা হয়। এর আগে গত ২০ এপ্রিল খোলা হয়েছিল দান সিন্দুকগুলো। তখন ২৭টি বস্তার মধ্যে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া যায়, যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল।
পাগলা মসজিদ কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে দান করছেন এই মসজিদে। যাঁরা দান করতে আসেন, তাঁরা বলে থাকেন, এখানে দান করার পরে নাকি তাঁদের আশা পূরণ হয়েছে। এ কারণেই দিন দিন দানের পরিমাণ বাড়ছে। এবার আরও বেশি টাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এখন চলছে টাকা গণনার কাজ। দুটি মাদ্রাসার প্রায় ২৫০ শিক্ষার্থী, ব্যাংকের ৭০ জন কর্মী, মসজিদ কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ প্রায় ৩৫০ জন টাকা গণনার কাজ করছেন।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, সকাল থেকে টাকার সিন্দুক খোলা, বস্তায় ভরে এনে গণনা শেষে ব্যাংক পর্যন্ত সব টাকা নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার সার্বিক নিরাপত্তার কাজে তিনিসহ পুলিশ সদস্যরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া গণনার দিন ছাড়াও বাকি দিনগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন সিন্দুক নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন।