কুমিল্লার বিভিন্ন সড়কে চলাচল করা যানবাহন থেকে চাঁদা তোলা বন্ধ হয়েছে। ৫ আগস্ট থেকে আজ ১০ আগস্ট পর্যন্ত কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন স্ট্যান্ডে চালকদের কাছ থেকে কেউ চাঁদা আদায় করতে আসেনি। এতে স্বস্তি প্রকাশ করছেন বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকেরা।
আজ শনিবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় এলাকার সিএনজিস্ট্যান্ডে গিয়ে কথা হয় চালক তোফায়েল হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, এই কান্দিরপাড় সিএনজিস্ট্যান্ডে হাবীব নামের একজন প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ টাকা করে প্রতিটি অটোরিকশা থেকে চাঁদা তুলতেন। এই টাকা যেত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতার কাছে।
নগরীর ঈদগাহ এলাকার সিএনজি অটোরিকশাচালক মাহবুব হোসেন জানান, ঈদগাহ থেকে সিএনজি ছাড়লে ৫০ টাকা, ফকিরবাজার গেলে ২০ টাকা, শংকুচাইল ছিল ২০ টাকা এবং বাগড়া সিএনজিস্ট্যান্ডে দিতে হতো ৫০ টাকা। প্রতিদিন গড়ে দেড় শ টাকা চাঁদা দিতে হতো। ৫ তারিখের পর থেকে আর কেউ চাঁদা নিতে আসে না। খুব ভালো লাগছে।
নগরীর জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, স্বস্তিতে যাত্রী আনা–নেওয়া করছেন বাস ও অটোরিকশাচালকেরা। মনসুর হোসেন নামে লোকাল বাসের এক চালক বলেন, ‘বাসস্ট্যান্ডে আগে কত রকমের নেতা দেখতাম। ৫ তারিখের পর সব ভাইগ্গা গেছে।’
পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় হচ্ছে না দাবি করে আবদুর রশীদ নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক বলেন, ‘তাঁরা (চাঁদাবাজরা) আমডার হকের টাকা মাইরা খাইত। আল্লায় বিচার করছে। এডি এহন ঘরে নাই।’
কোটা আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সাকিব হোসেন বলেন, তাঁদের যতগুলো দাবি ছিল তার মধ্যে অন্যতম একটি দাবি ছিল পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধ করা। শিক্ষার্থীরা শৃঙ্খলা ফেরানোর পাশাপাশি সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যাঁরাই দায়িত্ব পালন করবেন তাঁরা যেন বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত রাখেন।