শেখ হাসিনার ক্ষমতা হস্তান্তর ও দেশ ছেড়ে যাওয়ার খবরে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে সর্বস্তরের মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েন এবং বিজয় উল্লাস করেছে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ। এ সুযোগে এক শ্রেণীর দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি হামলা চালায়। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার (৬ আগষ্ট) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার লেছড়াগঞ্জ এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. গোলাম মহীউদ্দীনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে এক দল দুর্বৃত্ত। এছাড়াও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল হোসেনের বাড়িও ভাংচুর করা হয়। একই দিনে রাত নয়টার দিকে চালা ইউনিয়নের ইজদিয়া এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সুতালড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলজার হোসেন বাচ্চু, একই গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার রায়হান মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, আগ্রাইল গ্রামের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা হাসিবুল হাসান নান্নু ও এ. কে আজাদের বাড়িসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের বাড়ি ভাংচুর করা হয় বলে জানা গেছে।
ভাংচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানান, মঙ্গলবার সকালে একদল দুর্বৃত্ত আমার বাড়ি প্রবেশ করে ঘরের ভেতর আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এছাড়াও একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম মুঠোফোন জানান, আমার বাড়িসহ আমাদের গ্রামে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (৫ আগস্ট) বিকাল থেকে মিছিল শুরু করে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগ করা হয়। নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগেরও ঘটনা ঘটায়। এদিন উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজের বাড়ি হানলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ঘর দরজাসহ আসবাবপত্র ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এ দিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি অফিস থেকে নামিয়ে দেয়া হয় শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার ছবি। বিষয় নিশ্চিত করেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকগণ।
এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার ওসি শাহ নূর এ আলম জানান, শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর পেয়ে আমার অফিস থেকে ছবি নামিয়ে ফেলা হয়।