সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা পানি বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, যমুনা নদীর পানি আরও দুই দিন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হওয়ায় অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যাকবলিতদের মধ্যে। এছাড়া বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বানভাসীরা আশ্রয়কেন্দ্র ও উচ্চস্থানে আশ্রয় নিয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিতদের জন্য ১৮০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
এছাড়া পানি উঠে পড়ায় বন্ধ রয়েছে জেলার ১৮১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান। সিরাজগঞ্জের সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল চন্দ্র সূত্রধর জানান, বন্যায় জেলায় ৬ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যায় বেশি দুর্ভোগে রয়েছে চরাঞ্চলের মানুষ। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে। তবে বন্যাকবলিতদের মধ্যে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম চলছে।