trafick

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, ৭ কি.মি. যানজটে ভোগান্তি চরমে

ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল থেকেই কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে এই মহাসড়কটি অবরোধ করে রেখেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে অন্তত সাত কিলোমিটার যানযটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এসে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে মহাসড়ক অবরোধ করে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শিক্ষাবর্ষের পাঁচশতাধিক শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত এখনো অবরোধ করে রাখা হয়েছে সড়কটি।

জানা যায়, ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে দেয়া প্রজ্ঞাপন হাইকোর্ট কর্তৃক অবৈধ ঘোষণার প্রতিবাদে ও প্রজ্ঞাপন পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা অবরোধ করছে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।

সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হওয়া দুই ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ আন্দোলনের কারণে অন্তত সাত কিলোমিটার দীর্ঘ যানযটের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ অবরোধের ফলে আটকে থেকে চরম ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা।

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী বাস চালক জুলহাস বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছি ঢাকা যাবো। কিন্তু অন্তত দুই ঘন্টা ধরে এই কোটবাড়ি বসে আছি। যাত্রীরাও ভোগান্তিতে আছে।’

ঢাকা থেকে পণ্য নিয়ে ট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ট্রাক চাকল আনোয়ার মিয়া৷। তিনি বলেন, ‘কাচামাল নিয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছি। পাঁচটার মধ্যে পৌছানোর কথা থাকলেও এখনো এখানেই বসে আছি মনে হয় না সময়ের মধ্যে পৌঁছাতে পারবো।’

ঢাকাগামী যাত্রী শ্রাবণ ইসলাম বলেন, দুই ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি বাস নড়ছেই নেই। এদিকে এই বৃষ্টি, এই রোদ চরম ভোগান্তিতে আছি।
চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে রওনা দেয়া আয়শা বেগম বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে বাস নড়ছে না। এই বৃষ্টি, এই রোদ। কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার মজুমদার জানান, অবরোধের কারণে মহাসড়কে যানযটের সৃষ্টি হয়েছে। অবরোধ সড়ে গেলে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে যানযট নিরসনের চেষ্টা করবো।

Scroll to Top