মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মোহাইমেনুল ইসলাম মাহি (১৪) নামে গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা করেছে তারই কয়েক সহপাঠী।
মাহি ওই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র এবং গাজীপুর মহানগরের পশ্চিম চত্বর (স্কুল গেইট) এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মো. মহসিন মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থীকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করলে তারা গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম এবং মামলার বাদী ভিকটিমের মা ফারিয়া আক্তার জানান, গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মোহাইমেনুল ইসলাম মাহির সম্প্রতি একটি মোবাইল ফোন খোয়া যায়। গত ২৪ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাহির তিন সহপাঠী পশ্চিম চত্বর স্কুল গেট এলাকার ভিকটিমের বাসার সামনে এসে মাহিকে বাসা থেকে বাইরে নিয়ে যায়। পরে তারা মাহির খোয়া যাওয়া ওই মোবাইল ফোনটি পাওয়া গেছে বলে কৌশলে অপহরণ করে একটি অটোরিকশায় তুলে পার্শ্ববর্তী ২৬ নম্বর ওয়ার্ড মারিয়ালী কলাবাগানের পাগলার মাঠে নিয়ে যায়।
সেখানে নিয়ে তারা এবং আগে থেকে ওতপেতে থাকা আরেক শিক্ষার্থী মিলে ভিকটিমের সঙ্গে থাকা স্মার্ট মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয়। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারা ভিকটিমকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই মোতাবেক পার্শ্ববর্তী বীথিকা আবাসিক প্রকল্পের নির্মাণাধীন একটি ভবনের দ্বিতীয়তলায় নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত ভেবে ওই ভবনে ফেলে রেখে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরে দুপুর পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় কয়েক যুবক ওই ভবনে গিয়ে জ্ঞানহীন এবং জীবিত অবস্থায় মাহিকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। মাহি বর্তমানে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছে।
এ ঘটনায় ২৫ জুন ভিকটিমের মা বাদী হয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানায় উল্লেখিত ৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।