পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক সরকারি ব্যবস্থাপনায় চালুর পর গত ৬ দিনে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৪৬১ টাকা আয় হয়েছে। পরে সরকারি কোষাগারে এসব টাকা জমা দিয়েছেন তদারকি কমিটির সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাতে দুর্নীতি দমন কমিশন গোপালগঞ্জের উপ-পরিচালক ও তদারকি কমিটির সদস্য সচিব মো. মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক সরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু করা হয়। এরপর থেকে গত বুধবার (১৯ জুন) পর্যন্ত ছয় দিনে পার্কের মধ্যে দর্শনার্থী প্রবেশ ও রাইড ফি এবং খাবার বিক্রি বাবদ আয় হয়েছে ২ লাখ ৭১ হাজার ৫ টাকা, কাশফুল (বন) বিক্রি বাবদ আয় ২০ হাজার টাকা ও পার্কের গাছের আম বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ৪৮ হাজার ২১৬ টাকা। যার মোট আয় হয়েছে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৪৬১ টাকা। আয় হওয়া এসব টাকা তদারকি কমিটির আহ্বায়ক জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের ব্যবস্থাপনায় যে হিসাব খোলা হয়েছে সেই হিসাবে জমা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সাভানা পার্ক জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় তদারকি কমিটি গত শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য পার্কটি খুলে দেয়। ওইদিন সকাল থেকে আগের মত ১০০ টাকা গেট ফি দিয়ে পার্কের ভেতরে প্রবেশ করেন দর্শনার্থীরা। গত ৪ জুন সার্ভার জটিলতা দেখিয়ে সাময়িকভাবে পার্কটি বন্ধ করে দিয়েছিল পার্ক কর্তৃপক্ষ।
এরপর থেকে পার্কটি বন্ধ ছিল। গত ৭ জুন রাতে আদালতের নির্দেশে রিসিভার নিয়োগ করে পার্কটি নিয়ন্ত্রণ নেয় জেলা প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সার্বিক তদারকির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালককে সদস্য সচিব করে ৬ সদস্যের একটি তদারকি কমিটি গঠন করে দুর্নীতি দমন কমিশন।