প্রেম নিয়ে দুই বন্ধুর দ্বন্দ্ব, ‘বিশেষ অঙ্গ’ হারানোর পর মারা গেল বেলাল

গাইবান্ধার সাঘাটায় একই দিনে দুই বন্ধুর পুরুষাঙ্গ কর্তনকারী বেলাল হোসেন মারা গেছে। বুধবার (১৯ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে উপজেলার কামালের পাড়া ইউনিয়নের সুজালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বেলালের সঙ্গে সিরাজুলের দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্ব চলে আসছিল। এরই মধ্যে বেলালের খালাতো বোনের সঙ্গে সিরাজুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি বেলাল জানতে পেরে গোপনে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। এরই একপর্যায়ে সিরাজুলকে ঈদের দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে ডেকে আনেন বেলাল। তারপর ঘরে নিয়ে সিরাজুলের লিঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে দেয়। এ অবস্থায় গুরুতর আহত সিরাজুল ইসলামকে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি হওয়ায় সিরাজুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বন্ধু সিরাজুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক শুনে বেলাল ও তার পরিবারের লোকজন সটকে পড়ে। এরপর বিকেলের দিকে কামালের পাড়া ইউনিয়নের মাটেলের বিল নামক স্থানে গলা, পেটে ও লিঙ্গ কাটা যখম অবস্থায় বেলালকে পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী।

পরে স্থানীয় লোক বেলালকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বেলালকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ বগুড়ায় স্থানান্তর করেন। পরে আজ বুধবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় বেলাল হোসেন বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এঘটনার পর বেলালের মাকে পাওয়া যায়নি। প্রথম ঘটনায় বেলালের মা উপস্থিত ছিল বলে জানিয়েছে সিরাজুল।

ঘটনাটি নিয়ে সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ তার সঙ্গীয় এসআই, এএসআইদের নিয়ে ঘটনাটির সঠিক তথ্য উদঘাটনে ঘটনাস্থলে একাধিকবার যায়। প্রথম ঘটনায় বেলালের বাড়ি হতে রক্তাক্ত ধারালো ব্লেড ও বিছানার চাদর উদ্ধার করে। দ্বিতীয় ঘটনায় তথ্য উদঘাটনে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজনসহ অনেককেই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয়রা জানান, দুইজনের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। কেউ জানান, প্রেমঘটিত কারণে এ ধরণের ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করছে।

এ ব্যাপারে সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হকের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ঘটনাটির মূল রহস্য খুঁজে বের করতে আমরা তদন্ত অব্যাহত রেখিছি। আশা করি শিগগিরই আসল রহস্য উম্মোচন হবে।

Scroll to Top