চাঁদপুরে অসহায় ও দুস্থ তিন হাজার পরিবারের মধ্যে ২৩টি পশুর কোরবানির মাংস বিলিয়ে দিয়েছেন দানবীয় ও দেশের শীর্ষ করদাতা জর্দা ব্যবসায়ী হাজী কাউছ মিয়া।
সোমবার (১৭ জুন) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাঁদপুর শহর এবং দুর্গম চর এলাকার মানুষের জন্য এমন মানবিক কাজ করেন তিনি।
জানা গেছে, প্রায় ৯৪ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন বাংলাদেশের শীর্ষ করদাতা ও প্রবীণ ব্যবসায়ী হাজী কাউছ মিয়া। তার বড় পরিচয় তিনি চাঁদপুরের কৃতি সন্তান। বয়সের কারণে তিনি পুরান ঢাকার বাসায় নিজ বাসভবনে শয্যাশায়ী।
গত রমজান মাসে বার্ধক্যজনিত কারণে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে হাজী কাউছ মিয়াকে তার সন্তানরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে জরুরি ভিত্তিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রায় মাসখানেক চিকিৎসাধীন থাকার পর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে কিছুদিন আগে তাকে দেশে আনা হয়। এখন রাজধানীর আরমানিটোলার বাড়িতেই আছেন তিনি।
এমন অসুস্থতার মধ্যেও চাঁদপুরের অসহায় মানুষের কথা ভোলেননি কাউছ মিয়া। প্রতি বছরের মতো এবারও গরিবের জন্য চাঁদপুরে ২৩টি পশু কোরবানি দিয়েছেন তিনি।
সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হাজী কাউছ মিয়া পশুগুলো কোরবানি দেন। ২৩টির মধ্যে চাঁদপুর শহরের মুখার্জি ঘাট পুরাতন বাড়িতে ১০টি, রাজরাজেশ্বর চর এলাকায় আটটি ও তরপুরচন্ডী আনন্দবাজার পুরুন্ডুপুরে পাঁচটি গরু কোরবানি দেন। এসব পশু কুরবানীর মাংস ওইসব স্থান থেকেই বিতরণ করা হয়েছে।
হাজী মোহাম্মদ কাউছ মিয়ার সম্মতি নিয়ে তার সন্তানদের পক্ষে ছেলে হাজী মানিক মিয়া চাঁদপুরে ২৩টি পশু কোরবানির ব্যবস্থা করেন বলে জানা যায়।