নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানিয়ে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা পারভীন।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুর ১টার দিকে পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকার তার নিজ বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সামান্য একটি ঘটনাকে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙার নাটক সাজানোর প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার পর নীলগঞ্জ ইউনিয়নে ৯ জুন ভোটারদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারায় যাই। সেখানে পৌঁছানো মাত্র আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অবস্থানরত রহমান তালুকদার কার্যালয়টি তালাবন্ধ করে দেন।’

‘এ বিষয় নিয়ে আমার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমাকে আওয়ামী লীগ থেকে তাড়ানোর পায়তারা করা হচ্ছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে শাহিনা পারভীন সীমা বলেন, ‘আমার বাবা মরহুম আনোয়ার-উল-ইসলাম পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। আমার বড় ভাই আবদুল্লাহ আল-ইসলাম লিটন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। আমার এক চাচাত ভাই নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। আমাদের গোটা পরিবার আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত। অথচ, রহমান তালুকদার এক সময় বিএনপি-জাতীয় পার্টি করা মানুষ। যিনি সামান্য ঘটনাকে তিলকে তাল বানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।’

এদিকে, দলীয় কার্যালয় ভাঙার বিষয়ে জানতে চাইলে নীলগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জগৎ জীবন রায় জানান, দলীয় কার্যালয় খোলা কিংবা বন্ধ নিয়ে দু’পক্ষের কথা কাটাকাটি ও চড়-থাপ্পড় দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। অফিস ভাঙার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘ওই দিন নারী ভাইস চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা ঝগড়া বাঁধায়। ভাইস চেয়ারম্যানের লোকজন আমার ছেলেসহ কয়েকজনকে মারধর করেছেন। একপর্যায়ে দলীয় কার্যালয়ের চেয়ার ভাঙচুর করেন। এরপর আমার বাড়িতে গিয়ে হামলা করেন।’

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার বলেন, ‘ঘটনার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত দলের প্রধান হিসেবে ঘটনাস্থলে গিয়ে যাচাই করে দলীয় কার্যালয়ের সামনের ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। তবে রহমান তালুকদারের বাড়ির হামলার ঘটনায় স্থানীয় ব্যক্তিরা কিছুই জানাননি। আমরা দলীয়ভাবে বিষয়টি দেখছি।’

Scroll to Top