ফরিদপুরের মধুখালীতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা করায় আসামি ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের হুমকিতে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার। নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। ঈদের আগেই নিজেদের বাড়িতে ফিরতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা।
এদিকে মামলা দায়েরের এক সপ্তাহ পার হলেও আসামি মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কালাম শেখকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
থানা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জুন এক ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করেন অভিযুক্ত কালাম শেখ। ওই ছাত্রে কোনোমতে সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে পরিবারের সদস্যদের সবকিছু খুলে বলে।
এ ঘটনা জানতে পেরে অভিযুক্ত কালামকে মারধর করেন ভুক্তভোগির বাবা। পরে কালাম ও তার লোকজন মিলে ওই ছাত্রীর বাবা ও চাচা মারধর করে।
এতে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীর চাচাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় গত ৭ জুন মধুখালী থানায় মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা। মামলা দায়েরের পর থেকে তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য।
কালামের হুমকিতে স্কুল ছাত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
স্কুল ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে প্রতিবেশী কালাম। এ ঘটনায় আমি মামলা দায়ের করলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে এলাকা ছেড়ে এখন অন্যত্র অবস্থান করছি। দুইদিন পরেই ঈদ।
বাড়িতে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
স্কুল ছাত্রীর চাচা বলেন, ‘এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় কুপিয়ে জখম করা হয় আমাকে। বর্তমানে আমি ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি। কালামের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী জানাই।’
মধুখালী থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেন বলেন, ‘ভুক্তভোগী পরিবার এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে। আসামীকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।